দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে মোবাইল ফোনের পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বা ‘ফাইভ জি’ সেবা চালু করার কথা জানিয়েছে শীর্ষ দুই অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি। এর মধ্যে গ্রামীণফোন দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ফাইভ জি সেবা চালু করার কথা জানিয়েছে। আর রবি বলছে, তারা তিনটি বিভাগীয় শহরের সাতটি জায়গায় সোমবার থেকে ফাইভ জি সেবা দিচ্ছে। দুটো কোম্পানিই বলছে, ফোর জি প্যাকেজের দামেই গ্রাহকরা ফাইভজির দ্রুত গতির ইন্টারনেট পাবেন। সেজন্য তাদের লাগবে ফাইভ জি সাপোর্টেড হ্যান্ডসেট। একই সঙ্গে তারা বলছে- দেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে তারা ফাইভ জি সেবা চালু করল। বর্তমান ফোর জি ব্যবস্থায় ইন্টারনেটের যে গতি, তার চেয়ে ১০ থেকে ১৫ গুণ গতি বেশি পাওয়া যাবে ফাইভ জিতে।
গতকাল রবির তেজগাঁওয়ের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফাইভ জি সেবা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টার তথ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান এমদাদুল বারী, আইসিটি সচিব শীষ মোহাম্মদসহ রবির কর্মকর্তারা। একই সময়ে গ্রামীণফোনের ফেসবুক পেজে ভিডিও পোস্ট করে ফাইভ জি চালুর ঘোষণা দেন কোম্পানির সিইও ইয়াসির আজমান। রবির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এ সেবা যেন কেবলমাত্র শহরকেন্দ্রিক এলিটদের জন্য না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। দ্রুত এ সেবা প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে যেতে হবে, যাতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোক্তা এবং কৃষকরাও এই উচ্চগতির প্রযুক্তির সুযোগটা নিতে পারেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান এমদাদুল বারী বলেন, ফাইভ জির জন্য একটা শক্তপোক্ত শেয়ার্ড অবকাঠামোর প্রয়োজন। প্রস্তাবিত টেলিকম নীতিমালায় আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে এসেছি। সারা দেশে ফাইভ জি পৌঁছে দিতে গেলে আমাদের ৫ লাখ কিলোমিটারের বেশি ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক দরকার। সেখানে আমাদের আছে ২ লাখ কিলোমিটারের কম। অনুষ্ঠানে রবির চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহেদুল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সাতটি জায়গায় ফাইভ জি সেবা শুরু করেছেন। ফাইভ জি সাপোর্টেড হ্যান্ডসেটের সংখ্যার ভিত্তিতে নভেম্বরের মধ্যেই তারা ২০০টি সাইটে এই সেবা চালুর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। যেখানেই ‘ফাইভ জি এনাবেলড’ হ্যান্ডসেটের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ শতাংশের মতো দেখা যাবে, সেখানে তারা এ সেবা নিয়ে যাবেন।