বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ‘নজরুল ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সাংস্কৃতিক সংযোগের অনন্য প্রতীক। তাঁর কবিতা শোষিত জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিল, আত্মাকে জাগ্রত করেছিল এবং পুরো দেশকে ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল ভাঙতে অনুপ্রাণিত করেছিল।’ কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীউপলক্ষে গতকাল ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার (আইজিসিসি) আয়োজিত ‘নজরুলসন্ধ্যায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘নজরুল আজও তরুণদের জন্য অনন্ত প্রেরণা, যিনি সাম্য, মানবতা ও অসাম্প্রদায়িকতার বার্তা দিয়ে জাতীয় সীমানা অতিক্রম করেছেন। নজরুল আমাদের সম্মিলিত বিবেকের বাতিঘর।’ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আইজিসিসির পরিচালক মেরি জর্জ ভারত ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনের স্থায়িত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নজরুল গবেষক, তরুণ প্রতিনিধিসহ বিপুলসংখ্যক শিল্পপ্রেমী উপস্থিত থেকে বিদ্রোহী কবিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। মূল আকর্ষণ ছিল দুই খ্যাতিমান নজরুলসংগীত শিল্পী ড. চন্দা চক্রবর্তী ও শহীদ কবির পলাশের পরিবেশনা। বিদ্রোহী কবিতার আগুনঝরা সুর থেকে শুরু করে ভক্তিমূলক ও প্রেমের গান দর্শকদের গভীরভাবে আন্দোলিত করে।