অবৈধভাবে অপসারণের অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক (মাউশি) অধিদপ্তরের চেয়ারম্যানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার কেরানীগঞ্জ সহকারী জজ দেবী রানী রায়ের আদালতে সাবেক শিক্ষক নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
মামলার অপর বিবাদীরা হলেন ওই স্কুলের সাবেক সভাপতি জাকির আহমেদ, প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন, তার স্ত্রী শিক্ষিকা রাসিদা আক্তার, উপআঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ঢাকার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং কেরানীগঞ্জের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ মার্চ পত্রিকায় সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ মার্চ নিয়োগদানের লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০ মার্চ তিনি সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি চাকরি করতে থাকেন। এরপর জাকির আহমেদ এবং তোফাজ্জল হোসেন বাদী নাসির উদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও হুমকি-ধমকি দিয়ে কোনো নোটিস না দিয়েই বিদ্যালয় থেকে অব্যাহতিসহ বের করে দেন। ২০১৩ সালের ২২ মার্চ একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাসিদা আক্তারকে জাকির আহমেদ এবং তোফাজ্জল হোসেন ওই পদে ১১ এপ্রিল যোগদান করান।
বাদীর অভিযোগ, তার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কাগজপত্র জাল-জালিয়াতি করে রাসিদা আক্তারকে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করান, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ। বিবাদীদের এমন কর্মকাণ্ডে বাদী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।