প্লাস্টিক, পলিথিন দূষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ভূমিকম্প সুরক্ষার প্রস্তুতি বিষয়ে ২০ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত বিশেষ সেমিনারে এসব সুপারিশ জানানো হয়। বাপার সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির। এতে প্লাস্টিক ও পলিথিন প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ। শিল্প ও মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার এবং ভূমিকম্প ও প্রস্তুতি বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার নগরায়ণ ও নগর সুশাসন প্রোগ্রাম কমিটির সদস্যসচিব তৌফিকুল আলম। শিল্প ও মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সুপারিশগুলো হচ্ছে-প্রতিটি শিল্প কারখানায় বাধ্যতামূলক ইটিপি স্থাপন এবং কার্যকরভাবে পরিচালনা করা; পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়া ব্যবহার করে বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করা; শিল্প মালিকদের জবাবদিহি এবং নিয়মিত মনিটরিং করা; সরকারকে শিল্পাঞ্চলভিত্তিক আধুনিক সিইটিপি গড়ে তোলা এবং রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিকে উৎসাহ প্রদান; জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করাসহ প্রভৃতি।
ভূমিকম্প ও নগর প্রস্তুতিবিষয়ক সুপারিশগুলো হচ্ছে-সিটি করপোরেশন কর্তৃক প্রণয়ন করা ভূমিকম্প কন্টিনজেন্সি প্ল্যান বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; অস্থায়ী আশ্রয়গুলোর চিহ্নিতকরণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে; ভূমিকম্পজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে ঝুঁকির প্রকৃতি এবং মাত্রা চিহ্নিত ও ‘আপদকালীন পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করতে হবে; আধুনিক নগর পরিকল্পনা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে হবে; নগরজুড়ে আন্তঃনীল ও আন্তঃসবুজ সংযোগ (ব্লু ও গ্রিন নেটওয়ার্ক) প্রতিষ্ঠিত হলে দুর্যোগকালীন (অগ্নিকান্ড, ভূমিকম্প) উদ্ধার পরিকল্পনা তৈরি করা সম্ভবপর হবে; নগরের পুকুর, খাল এবং অন্যান্য জলাশয় পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা গেলে পানির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে ইত্যাদি।