সংস্কার ও বিচারের নামে নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি চলবে না উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সংস্কারের কথা বলে জনগণের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে লুকোচুরি খেলা হচ্ছে। একবার বলেন, মার্চ, একবার জুন, একবার ডিসেম্বর বলছেন কেন অন্তর্বর্তী সরকার এ লুকোচুরি খেলছে। সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার তো করবে নির্বাচিত সরকার। আপনারা শুধু সুপারিশ করতে পারবেন। গতকাল দুপুরে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই এলাকায় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের উদ্যোগে বেলুকুচি-চৌহালী-এনায়েতপুরের ৭ হাজার দুস্থ মানুষের মধ্যে শাড়ি, লুঙ্গি পাঞ্জাবি ও ১ হাজার পরিবারের মধ্যে ঈদসামগ্রী এবং দুজন শহীদ পরিবারে ২ লাখ টাকা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল ভূঁইয়া, সাবেক আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, সাবেক সদস্যসচিব বনী আমিন, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন প্রামাণিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক মন্ডলসহ বিএনপি নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, কেন গণপরিষদ দিতে হবে? বাংলাদেশ কি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। গণপরিষদ তখনি হয়, যখন একটি দেশ নতুন স্বাধীন হয়, যখন দেশে আইন থাকে না, সংবিধান থাকে না ও সরকার থাকে না। তখন সেখানে একটি পরিষদ করে সংবিধান রচনা এবং সরকার গঠন করা হয়। আমরা তো এই দেশ পেয়েছি ১৯৭১ সালে ৯ মাস যুদ্ধ করে। এখানে গণপরিষদের কথা কেন বলা হচ্ছে? কারা বলতে চাচ্ছে। মূলত একটি রাজনৈতিক দল যারা ১৯৭১ সালে রাজনৈতিকভাবে অপরাধ করেছেন। ১৯৭১ সালের বড় অর্জনকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা ও গণ পরিষদের’ নামে মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দিতে চান তারা?
রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে রক্তাক্ত জনপদ তৈরি করেছিল শেখ হাসিনা। সেই হাসিনাসহ দোষীদের বিচার করতে এতদিন লাগবে কেন? আর বিচারের নামে জনগণের অধিকার কেন কেড়ে নেওয়া হবে? জনগণ কেন তার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি করতে পারবে না?