স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে চার গুণ হারে স্টোর রেন্ট আরোপের পর কনটেইনারে স্বস্তি ফিরলেও ঈদের লম্বা ছুটি ভাবাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে। টানা নয় দিনের ছুটিতে কনটেইনার ও জাহাজজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, ছুটিতে কলকারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকা, পণ্য খালাসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে না থাকা, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো কয়েক দিন বন্ধ থাকাসহ নানা কারণে কমতে পারে কনটেইনার ডেলিভারি। আর তাতেই তৈরি হয়েছে জটের শঙ্কা।
বন্দরসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বছরই ঈদের ছুটিতে ডেলিভারি কম হওয়ায় কনটেইনার বেড়ে যায় বন্দরের ভিতরে। এতে জাহাজ থেকে নতুন কনটেইনার নামিয়ে রাখার জায়গা থাকে না। এতে ব্যাহত হয় পণ্য খালাস কার্যক্রম। বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউএস (২০ ফুট সমমান)। এর বিপরীতে মঙ্গলবার কনটেইনার ছিল ৩০ হাজার ৮৬০ টিইইউএস। প্রতিদিন বন্দর থেকে গড়ে প্রায় ৪ হাজার কনটেইনার ডেলিভারি (সরবরাহ) হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দরে শুধু ঈদের দিন ৮ ঘণ্টা ছুটি থাকবে। এর বাইরে আমরা ২৪ ঘণ্টাই পণ্য ডেলিভারি দিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু ঈদের ছুটিতে কলকারখানা বন্ধসহ নানা কারণে আমদানিকারকরা কনটেইনার ডেলিভারি নিতে চান না। এ কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কনটেইনার বেড়ে যায়।