গতকাল ব্যতিক্রমী ইফতার আয়োজন করেছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন যোদ্ধাদের সম্মানে জেডআরএফের উদ্যোগে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জুলাই গণ অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় জেডআরএফ। গতকাল রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পৃথকভাবে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত হয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০৯ এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ১২০ জন বীরযোদ্ধার হাতে ইফতারি সামগ্রী সংবলিত দৃষ্টিনন্দন বক্স এবং জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের পক্ষে প্রত্যেকের নামে একটি শুভেচ্ছা চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে রংপুরের শহীদ আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন এবং চট্টগ্রামে শহীদ ওয়াসিমের বাবা শফি আলম উপহারসামগ্রী তুলে দেন।
আহত যোদ্ধাদের উদ্দেশে তারেক রহমান তাঁর চিঠিতে বলেন, ‘সম্মানিত সংগ্রামী বীর, আসসালামু আলাইকুম। শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় আপনাকে জানাই আমার অন্তরের গভীরতম অনুভূতি। এ পবিত্র রমজানের সময়, যখন আমরা সংযম ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত কামনা করি, তখন আপনার অসীম সাহস ও আত্মত্যাগ আমাদের হৃদয়ে গভীরভাবে নাড়া দেয়। আপনার শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা আমাদের ব্যথিত করে, কিন্তু একই সঙ্গে আপনার অবদান আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। জাতির জন্য আপনার ত্যাগ ও সাহসিকতা আমাদের গর্বের বিষয়। আপনি যে কষ্ট সহ্য করেছেন, তার প্রতিদান আমরা কখনোই সম্পূর্ণভাবে দিতে পারব না, তবে আপনার পাশে থাকাই আমাদের দায়িত্ব। এ সামান্য ইফতার না, তবে আপনার পাশে থাকাই আমাদের দায়িত্ব। এ সামান্য ইফতার আমাদের ভালোবাসার স্পর্শ, আমাদের শ্রদ্ধার নিদর্শন, আমাদের অঙ্গীকারের প্রতীক- আমরা আপনাদের পাশে আছি, ছিলাম, থাকব। আমরা জানি, আপনার যন্ত্রণা গভীর, কিন্তু আমরা আশা করি জাতির ভালোবাসা ও দোয়া আপনাকে শক্তি দেবে। আল্লাহ আপনাকে দ্রুত আরোগ্য দান করুন। আপনার অবদান জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আল্লাহ হাফেজ।’
পঙ্গু হাসাপাতালে ১০৯ জন আহত বীরযোদ্ধার মাঝে ইফতারি সামগ্রী দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার ও পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান, জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক আনোয়রুন্নবী মজুমদার বাবলা, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, কৃষিবিদ ড. আবদুল করিম, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, ডা. এ কে এম মাসুদ আখতার জীতু, মামুন বিন আবদুল মান্নান, প্রকৌশলী মেহেদী হাসান সোহেল এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ। অন্যদিকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ১২০ জন বীরযোদ্ধার হাতে ইফতারি সামগ্রী বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকী, জেডআরএফের ডা. এ এইচ এস হায়দার পারভেজ, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন, আমিরুল ইসলাম কাগজী, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, শফিকুল ইসলামসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ। তাঁরা আহতদের সঙ্গে চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন ও কুশল বিনিময় করেন।