পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যশোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম গতকাল এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম। এ ছাড়া পৃথক আরেকটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তন্দ্রা ভট্টাচার্যের আয়করের মূল নথি জব্দের নির্দেশও দিয়েছেন। খুলনা কর অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার অব ট্যাক্সেস সার্কেল-৮ যশোরকে তন্দ্রা ভট্টাচার্যের আয়করের মূল নথি সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানান, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে দুদক একটি মামলা করে। স্বপন ভট্টাচার্য তাঁর স্ত্রী তন্দ্রার যোগসাজশে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯১ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া ১০টি ব্যাংক হিসাবে ১০ কোটি ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৩ টাকার সন্দেহমূলক লেনদেনের তথ্য গোপন করার জন্য রূপান্তর, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন তন্দ্রা ভট্টাচার্য। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে স্বপন ভট্টাচার্য ও তন্দ্রা ভট্টাচার্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে বিচারত তা মঞ্জুর করেন।
এদিকে, একই দিন স্বপন ভট্টাচার্যকে আসামি করে আদালতে আরও একটি মামলা করেছে দুদক। এ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, স্বপন ভট্টাচার্যের নামে ২ কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার ১৫১ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। এ ছাড়া নিজের নামে ১৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪১ কোটি ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৪ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যও পেয়েছে দুদক। সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার মাধ্যমে পাওয়া অর্থ গোপন করার উদ্দেশ্যে এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।