প্রচলিত আইন ও হাই কোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির বোন, পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকারের সব ভিডিও অপসারণ চেয়ে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। গতকাল ইমেইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান এ নোটিস পাঠিয়েছেন। নোটিসে দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে এ নোটিস পাঠানো হয়েছে।
নোটিসে বলা হয়, আইনে স্পষ্ট বিধান সত্ত্বেও স্পর্শকাতর এ ঘটনায় মাগুরার ভিকটিম শিশুর ছবি, ভিডিও ও তার পরিচয় শনাক্তকরণের তথ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আইনের বিধিনিষেধ এবং হাই কোর্টের কঠোর নির্দেশনা সত্ত্বেও ‘আমরাও মানুষ’ নামক ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিও ধারণের মাধ্যমে শিশুটির বড় বোনের কাছে ঘটনার বর্ণনা জানতে চাওয়া ও ঘটনার সত্য-মিথ্যা বিষয়ে জবাবদিহিমূলক ভিডিও ধারণ করা হয়।
নোটিসে আরও বলা হয়, ওই কনটেন্ট ক্রিয়েটর একই ঘটনায় একাধিক ভিডিও সমাজমাধ্যমে আপলোড করেন; যা মুহূর্তে ভাইরাল হয় এবং তা দেখে উৎসুক জনতাও ভিডিও ধারণে উৎসাহী হয়ে পড়ে; যার মাধ্যমে ভিকটিম পরিবারটিকে নতুন করে ভিকটিমাইজ করার অপচেষ্টা হয়েছে। তাই ওই নোটিস প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেসব ভিডিওসহ শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়, এমন সব ভিডিও-পোস্ট সমাজমাধ্যম থেকে অপসারণের অনুরোধ করা হয় নোটিসে। একই সঙ্গে ‘আমরাও মানুষ’-এর কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার ও শিশুটির পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের অনুরোধ করা হয়।