ডিলার শামীম রেজা চলতি মাসের জন্য বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন) থেকে ৫ টন সার বরাদ্দ পেয়েছেন। ৪ মার্চ তিনি সোনালী ব্যাংকের রেলওয়ে শাখা থেকে ৯৫ হাজার টাকার পে-অর্ডার করেছেন। কিন্তু তিনি সার সরবরাহ পাননি।
শুধু শামীম রেজা নন, চলতি বোরো চাষাবাদের ভরা মৌসুমে সার সরবরাহ পাননি রাজশাহীর একজন ডিলারও। মাসের এক তৃতীয়াংশ পার হলেও কবে সার সরবরাহ পাবেন তারও কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। ডিলারদের নামে ফেব্রুয়ারিতে যে সরবরাহ ছিল, তা সরবরাহ শেষ হয়েছে মার্চের প্রথম সপ্তাহে। ফলে বোরোর ভরা মৌসুমে সারসংকটে পড়েছেন কৃষক। সরকারিভাবে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদে প্রতি মাসেই জেলার ২১৯ জন ডিলারের অনুকূলে সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দকৃত সার মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু করে শেষ দিনের মধ্যেই উত্তোলন করে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করে থাকেন ডিলাররা। তবে মার্চের এক তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলেও জেলার কোনো ডিলারকে সার সরবরাহ দিতে পারেনি রাজশাহী বিএডিসি। ফলে সারসংকটের কারণে বোরোসহ অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান জানান, সার গোডাউনে পৌঁছে দিতে সরকারের সঙ্গে বস্তাপ্রতি ৪২ টাকায় চুক্তি হয় ঠিকাদারদের। কিন্তু যশোরের নোয়াপাড়া থেকে ৫৮ টাকার কমে এখন আসতে চাচ্ছেন না। এ কারণে সরবরাহ চেইনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে; যার প্রভাব পড়ছে সার সরবরাহে।
রাজশাহী বিএডিসির গুদাম ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, ডিলাররা যাতে দ্রুত সময়ে সার সরবরাহ পান, সেজন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে সরবরাহ না পেলে তাঁর কিছু করার নেই।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা জানান, বেসরকারি পর্যায়ে বরাদ্দের সার উত্তোলন চলছে। বিএডিসির সার সরবরাহ প্রক্রিয়াধীন। এ বিষয়ে তাঁরা (বিএডিসি) ভালো বলতে পারবেন। তবে সারের কোনো সংকট নেই, পর্যাপ্ত মজুত আছে বলে দাবি করেন তিনি।