ইউনাইটেড গ্রুপের বিতর্কিত দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার (আইপিপি) দামে গ্যাস সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ২ মার্চ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। ফলে এখন থেকে ওই দুটি কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করা হবে ক্যাপটিভ দামে। এর পাশাপাশি এখন থেকে এ দুই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সরবরাহ করা গ্যাসের দাম ক্যাপটিভ শ্রেণিতে আদায় করার জন্য তিতাস গ্যাস ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ-সংক্রান্ত আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়। আইপিপি দামে যে দুটি কেন্দ্রের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ঢাকা ইপিজেড এলাকায় ১০০ মেগাওয়াট ও চট্টগ্রাম ইপিজেডে অবস্থিত ৭২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ইউনাইটেড গ্রুপ ২০২৩ সালে সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে এ দুটি কেন্দ্রের গ্যাসের বিল ক্যাপটিভ শ্রেণির পরিবর্তে আইপিপি মূল্যে দেওয়ার আদেশ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)-এর কাছ থেকে চাপ দিয়ে আদায় করে নেয়। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটিতে আইপিপি মূল্যে গ্যাস সরবরাহ বাতিল করার পর বকেয়া গ্যাস বিল আদায়ে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে তিতাস গ্যাস ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে কেন্দ্র দুটিতে গ্যাসের সরবরাহও বন্ধ করে দিতে পারে বিতরণ কোম্পানি দুটি। জানা যায়, ২ মার্চ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অপারেশন-৪ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ রুবায়েত খান স্বাক্ষরিত ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ইউপিজিডি)-কে আইপিপি রেটে গ্যাস সরবরাহের সিদ্ধান্ত বাতিলের চিঠি পাঠানো হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ‘ক্যাপটিভ রেটে গ্যাস বিল প্রদান ও আদায়’ শিরোনামে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার দপ্তর, জ্বালানি সচিব, তিতাস গ্যাস ও কর্ণফুলী গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়।