রাজধানীর কাফরুল থানার রাব্বি ও মাহবুব হাসান মামুন হত্যা মামলায় কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মোস্তফা ও সহসভাপতি তাজুল ইসলাম ওরফে তাজুকে দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ভাটারা থানার সোহাগ মিয়া হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সামাদ সিন্ধু ও হাবিবুর রহমানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে জামাল মোস্তফার পাঁচ ও তাজুর তিন দিন এবং সোহাগ মিয়া হত্যা মামলায় অন্য দুজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে তাদের এসব রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মাহবুব হাসান মামুন হত্যা মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর থানাধীন বিআরটিএর সামনে আন্দোলনে অংশ নেন মাহবুব হাসান মামুন (৩৪)। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬১ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে রাজধানীর কাফরুল থানায় গত ২১ নভেম্বর একটি হত্যা মামলা করেন।
রাব্বি হত্যা মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই কাফরুল থানাধীন মিরপুর ১৩-এ আন্দোলনে অংশ নেন হাফেজ রাব্বি মাতবর। এদিন রাত ৮টায় আসামিদের ছোড়া গুলি তাঁর পেটে দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২ নভেম্বর কাফরুল থানায় হত্যা মামলা হয়।
ভাটারা থানার সোহাগ হত্যা মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানাধীন মাদানি এভিনিউ ১০০ ফিট রোডস্থ ফরাজী হাসপাতালের সামনে আন্দোলনে অংশ নেন কিশোর মো. সোহাগ মিয়া (১৬)। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় আসামিদের ছোড়া গুলি তার বাম কান দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৯১ জনকে আসামি করে ২০ আগস্ট ভাটারা থানায় হত্যা মামলা হয়।