খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে সংঘর্ষের পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলেও কার্যক্রম শুরু হবে ৭ এপ্রিল।
একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কুয়েটে ২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত রমজান, স্বাধীনতা দিবস, শবেকদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকছে। মাঝে ১ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটি শনিবার। ফলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হলে দীর্ঘ ছুটিতে পড়ছে কুয়েট।
এদিকে বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে মঙ্গলবার সংঘর্ষের সময় লাঞ্ছিত হওয়ার খবরে মুখ খুলেছেন কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ। তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা যখন ১টা ৪০ মিনিটে আমার কাছে এলো তখন থেকে আমি চেষ্টা করেছি। অন্যরা আমাদের ছাত্রদের যেখানে আক্রমণ করেছে সেখানে আমি তিনবার গিয়েছি। আমি মাঝে কিছুদিন অসুস্থ ছিলাম। তখন হঠাৎ আমার শারীরিক অবস্থা খারাপ মনে হলো। ওই অবস্থায় ছাত্ররা বলল আপনাকে এটা করতে হবে ওটা করতে হবে। আমি আর পারছিলাম না, তখন ওখানে একটা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আমি মেডিকেল সেন্টারের দিকে যাই আমার একটু ডাক্তার দেখানো দরকার। তারপর ওরা বলতেছে আপনাকে বাইরে আসতে হবে। তখন আমাকে প্রশ্ন করছে। যা হোক খারাপ আচরণ করেছে। তারপর এক পর্যায়ে দেখি চারদিক থেকে আমার ওপরে এসে হামলা করেছে। তখন ওইখানে আমার যারা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিল তারা আমাকে কোনোভাবে উদ্ধার করে মেডিকেল সেন্টারে একটা রুমে নিয়ে আসে। তার পর থেকে আমি অবরুদ্ধ থাকি।
তিনি বলেন, ছাত্রদের যতগুলো দাবি আছে আমাদের কাছে তা লিখিত আছে। মেনে নিয়েছি। রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরেও কেউ রাজনীতি করলে বা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে আমরা তাদের শাস্তি দেব। রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত আছে, এটা যদি প্রমাণিত হয় সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে আমরা এখান থেকে বরখাস্ত করব। আর যদি ছাত্ররা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকে, এটা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে আমরা তার ছাত্রত্ব বাতিল করব। এ সিদ্ধান্তটা আমরা নিয়েছি।
উল্লেখ্য, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে মঙ্গলবার সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী। হামলার সময় শিক্ষার্থীদের রক্ষায় ভিসিসহ অন্যরা ব্যর্থ হয়েছেন দাবি করে শিক্ষার্থীরা ভিসি, প্রো-ভিসিকে বর্জন করে কুয়েটে নতুন ভিসি নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।