গাজীপুরের টঙ্গীতে অভাবের তাড়নায় ময়লার স্তূপে ফেলে দেওয়া সেই নবজাতকের হতদরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। নবজাতকের বাবা স্বপন শারীরিকভাবে অসুস্থ, আর মা খালেদা পেশায় দিনমজুর। পরিবারের আরও একটি ১২ বছর বয়সী ছেলে এবং আড়াই বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমে নবজাতক উদ্ধারের খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করে। শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমেদ এবং টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান। তারা নবজাতকের পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
উপ–পুলিশ কমিশনার মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, নবজাতকের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি অসুস্থ স্বপনের চিকিৎসা এবং পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। পরিবারটি নবজাতকের দায়িত্ব নিতে পারছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দত্তকের আবেদন গ্রহণ করা হবে। কেউ না চাইলে সরকারিভাবেই নবজাতকের লালন–পালনের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার টঙ্গীর মরকুন মধ্যপাড়া এলাকার ভাড়াবাসায় স্বপন–খালেদা দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় তাদের তৃতীয় সন্তান। জন্মের পর সন্তানের ভরণপোষণ করা অসম্ভব ভেবে মা খালেদা নবজাতককে বাসার পাশের ময়লার স্তূপে ফেলে দেন। বৃহস্পতিবার সকালে দুই দিন বয়সী শিশুটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।
পরে নিঃসন্তান মনিরা নামে এক নারী আইনগত প্রক্রিয়ায় দত্তক হিসেবে শিশুটিকে গ্রহণ করেন এবং তার নাম রাখেন মানিক। বর্তমানে মানিকের দায়িত্ব ও দেখাশোনা করছেন মনিরা ও তার পরিবার।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল