ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ ঘটানো সেই গাড়ির চালক মোহাম্মদ উমর নবীর বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় অবস্থিত উমরের বাড়িতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গতকাল জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে ১৩ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশে একজন মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক, জম্মু ও কাশ্মীরের একজন মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ আরও দুই সন্দেহভাজনকেও আটক করা হয়েছে।
সূত্র জানান, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় এরই মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। তদন্তে নেমে কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন, বিস্ফোরণ মামলার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন এ কলেজে অধ্যয়ন করেছিলেন বা বর্তমানে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এরই মধ্যে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রেকর্ডের ফরেনসিক অডিট শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে ওই গাড়ি বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হয়। আহত অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের আগে বিস্ফোরকবোঝাই ‘আই-২০’ গাড়িটির স্টিয়ারিংয়ে ওই সময় কাশ্মীরের চিকিৎসক মোহাম্মদ উমর নবীকে দেখা গিয়েছিল।
পরে উমরের মায়ের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। একই সঙ্গে বিস্ফোরণস্থল থেকে সংগৃহীত দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়, যার সঙ্গে উমরের মায়ের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। এর পরই তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি চালাচ্ছিলেন চিকিৎসক উমর নবী বা উমর মোহাম্মদ।