রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৭) হত্যা এবং তার মা তাসমিন নাহার লুসীকে (৪৪) হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আটক হয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা লিমন মিয়ার (৩৪) বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেন। তারা নগরীর রাজপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন। ইতোমধ্যে তাদের থানা থেকে প্রত্যাহার করে আরএমপির পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত ও প্রত্যাহার হওয়া চারজন হলেন- উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু শাহাদাত, কনস্টেবল আব্দুস সবুর, মাহফুজার রহমান ও মিঠু সরদার।
আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলার কারণে এই চারজনকে প্রত্যাহার ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। সেটা দ্বিগুণও হয়ে যেতে পারে। কার কার দায়িত্বে অবহেলা ছিল, সে বিষয়ে ইনকোয়ারি চলছে। সেটার পরেই বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।’
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর ডাবতলা এলাকায় ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে খুন হয় নবম শ্রেণি পড়ুয়া বিচারকের ছেলে তাওসিফ। হামলায় আহত হন বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীও। এছাড়া হামলাকারী নিজেও ধস্তাধস্তিতে আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি করার পর অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই সময় লিমন একটি টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে কথা বলেন। পরে এ ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
এ ঘটনায় রাজশাহীর আদালতে একটি বিবিধ মামলা হয়েছে। হেফাজতে থাকা আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় আদালত শনিবার আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে শোকজ করেছেন। আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে। এ দিন আসামি লিমনেরও পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত