নাটোরে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে প্রতিবেশী নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেনকে (৫৫) জুতাপেটা করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। গৃহবধূর স্বামী কাওসার মজুমদার বাদী হয়ে এ বিষয়ে ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে নাটোর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আটক ইসমাইল হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে শনিবার বিকেলে কারাগারে পাঠিয়েছে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাটোর সদরের চিনিকল সংলগ্ন তেবাড়িয়া ইউনিয়নের জংলি গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন তার নিজের স্ত্রীর নাম করে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে কৌশলে প্রতিবেশী নাতবউ ভুক্তভুগি নারীকে তার স্বামীর মাধ্যমে বাড়িতে ডেকে পাঠান। ভুক্তভোগী নারী বাড়িতে এসে দেখেন তার দাদী শাশুড়ি বাড়িতে নেই। এসময় দাদা শ্বশুর ইসমাইল হোসেন ঐ নারীকে জোর করে কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে সে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। এলাকাবাসী এ সময় অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেনকে গণপিটুনি দিয়ে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে সেদিন রাতেই নাটোর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার খবর জানতে পেয়ে ইসমাইল হোসেন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। শনিবার ভোরে নিজ গ্রামে আত্মগোপনে থাকা ইসমাইল হোসেন রাস্তায় বের হলে পাহারায় থাকা এলাকাবাসী তাকে আটক করে জুতার মালা পড়িয়ে পুরো গ্রাম ঘুরিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে নাটোর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।
নাটোর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল