নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই লটারি প্রথার মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে বর্তমানে প্রশাসনে যে রদবদল চলছে তা চলমান প্রক্রিয়ার অংশ।
শনিবার দুপুরে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাব। কিন্তু এটা হলো ইলেকশনের শিডিউল ডিক্লিয়ার করার আগে। আর এই যে নরমাল প্রসিডিউর চলছে, এটাতো সবসময় চলে। যেমন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও পোস্টিং অর্ডার বের হয়, অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকেও হচ্ছে। এটা হলো চলমান প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, নির্বাচন শুরু হওয়ার পাঁচ দিন আগ থেকে মাঠে প্রশাসন শক্ত অবস্থানে থাকবে। এরপর নির্বাচনের দিনসহ পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে আরও আর তিন দিন মাঠে প্রশাসনকে রাখা হবে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ত্রায়োদশ নির্বাচন সফল করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মাঠে ৩০ হাজার সেনাসদস্য কাজ করছেন। পর্যায়ক্রমে নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনীর ১ লাখ সদস্য মাঠে থাকবেন। এ ছাড়া কোস্টগার্ডের ৪০ হাজার সদস্য, নৌবাহিনীর ৫ হাজার সদস্য, র্যাবের ৮ হাজার সদস্য এবং সাড়ে পাঁচ লাখ আনসার সদস্য নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন। যেকোনো নির্বাচনে আনসার সদস্যেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাই এবারের নির্বাচনে তাঁদের অস্ত্র দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘একটি দেশের নির্বাচন নির্ভর করে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনমুখী হয়ে আসনগুলোতে প্রার্থী দেওয়া শুরু করেছে, তাই আর নির্বাচন নিয়ে সামনে কোনো জটিলতা দেখছি না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী সোমবার। এ রায়কে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘এ রায় ঘিরে সরকার বড় ধরনের কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছে না। ইতিমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আশা করি সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ