বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন বিলে শীত মৌসুম শুরুর আগেই ভিড় করতে শুরু করেছে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি। তবে এসব পাখির আগমন আনন্দের বদলে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, বিলে খাবারের সন্ধানে আসা এসব অতিথি পাখি এখন চোরা শিকারীদের টার্গেট। প্রতিদিনই ফাঁদ পেতে ও জাল ব্যবহার করে পাখি শিকার করা হচ্ছে। এরপর সেসব পাখি প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। এই অবৈধ কর্মকাণ্ড ঠেকাতে প্রশাসন বা বন বিভাগের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নজরে পড়ছে না।
স্থানীয়রা জানান, কার্তিক মাস শুরুর পর থেকেই উজিরপুর উপজেলার সাতলা, হারতা, মশাং ও জল্লা এলাকার বিলগুলোতে অতিথি পাখির আগমন ঘটছে। এর মধ্যে সাতলার বিলেই সবচেয়ে বেশি পাখি দেখা গেছে। সেই সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরা শিকারিরা। সাতলার নয়াকান্দি, হারতা বাজার, মশাং বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন সকালবেলা পাখি বিক্রির হাট বসে। দেশীয় তৈরি ফাঁদ ও জাল ব্যবহার করে পাখি শিকার করছে চোরাকারবারিরা।
তবে আশার কথা, স্থানীয়দের সহযোগিতায় সম্প্রতি ২১টি অতিথি পাখি উদ্ধার করে মুক্ত করেছে বন বিভাগ। এর মধ্যে ছিল ১৬টি সরাইল, ৩টি ডুংগুর এবং একটি করে চ্যাগা ও ডাহুক।
বন বিভাগের উজিরপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, ‘এ বছর একটু আগেভাগেই অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রির খবর আমরা পেয়েছি। তবে লোকবল সংকট থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠিন হচ্ছে। তবুও আমরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাজারে তথ্য সংগ্রহ করছি এবং উদ্ধারকাজ চালাচ্ছি। জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ শুরু হয়েছে, পাশাপাশি টহল জোরদারের ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ