বলিউডে যশ চোপড়ার সেই বিখ্যাত ছবি ‘সিলসিলা’য় কাজ করার সময় স্বামী অমিতাভ বচ্চনকে চোখে চোখে রাখতেন স্ত্রী জয়া বচ্চন। কারণ নাকি অমিতাভের সঙ্গে অভিনেত্রী রেখার পরকীয়া।
রেখাও এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। আসলে বলিউডে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের নানা গুঞ্জন যখনই শোনা যায় তখনই উঠে আসে সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন ও রেখার নাম। আজও তা যেন একই রকমভাবে চর্চায়। অভিনেতা-স্বামীর সঙ্গে যে নায়িকাকে নিয়ে এমন রটনা তার সঙ্গেই পেশাদারিত্ব বজায় রেখে অভিনয় করেছিলেন ‘সিলসিলা’ ছবিতে জয়া বচ্চন। সেই ছবি আজও সবার মনে গেঁথে রয়েছে।
শুধু তাই নয়, আজও দোল এলে এই ছবির গানই সর্বাগ্রে মনে আসে দর্শক-অনুরাগীদের। তবে খুব সহজ ছিল না এই ছবির জন্য জয়া বচ্চনকে রাজি করানো। রেখার সঙ্গে নাকি একই ছবিতে কাজই করতে চাননি তিনি। পরে তাকে রাজি করাতে অন্য উপায় বের করেন পরিচালক যশ চোপড়া। জানা যায়, জয়াকে তখন এই ছবির জন্য রাজি করানোর সব রকম চেষ্টা করা হয়ে গেছে। আর ততদিনে চারদিকে রেখা-অমিতাভের পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়েও নানা গুঞ্জন চলছে। এহেন অবস্থায় যখন জয়া রাজি হচ্ছিলেন না ‘সিলসিলা’ ছবিতে অভিনয় করতে, তখনই সঞ্জীব কাপুরের শরণাপন্ন হন যশ চোপড়া। সঞ্জীব কাপুরকে বড় দাদার মতো সম্মান করতেন জয়া। তার কোনো কথা ফেলতে পারতেন না। আর তা জেনেই এই উপায় অবলম্বন করেন যশ চোপড়া। পরিকল্পনামাফিক সঞ্জীবের কথা শোনেন জয়া। রাজি হন এই ছবিতে কাজ করতে। শুধু তাই নয়, স্ক্রিপ্ট পড়ার পর নিজের চরিত্রও নাকি বেশ পছন্দ হয়েছিল তার। তবে এখানেই শেষ হয়নি। ছবি করার আগে শর্ত রেখেছিলেন জয়া। শোনা যায়, জয়া নাকি যশ চোপড়ার কাছে শর্ত রেখেছিলেন, তিনি সারাক্ষণ শুটিং ফ্লোরে উপস্থিত থাকবেন। তার শুটিং না থাকলেও তিনি উপস্থিত থাকবেন। বোঝাই যাচ্ছে, রেখা ও অমিতাভ যাতে শুটিং ফ্লোরে কোনোভাবেই কাছাকাছি না আসতে পারেন তার জন্যই এমন পথ বেছে নিয়েছিলেন জয়া। এক সাক্ষাৎকারে যশ চোপড়া এই ছবির শুটিং নিয়ে বলেছিলেন, ‘এই ছবিটা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল। আসলে বাস্তবের ঘটনাই তো পর্দায় ফুটে উঠছিল। তাই যে কোনো সময় যা খুশি হতে পারত। সমালোচনাও পিছু ছাড়েনি। সব মিলিয়ে একটা অদ্ভুত পরিস্থিতি ছিল এই ছবির শুরু থেকে শেষ অবধি।’