হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ শুরু করেছে বিভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। তারা সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা প্রস্তুত করতে বলেছে। সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক-দুই দিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে ঠিক কত পরিমাণ পণ্য ছিল এবং কতটা ক্ষতি হয়েছে তার একটি স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে।
এদিকে, কার্গো ভিলেজ চালু হতে কতদিন সময় লাগবে, তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন রপ্তানিকারকরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিমানবন্দরের কার্যক্রম দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকলে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি রপ্তানি কার্যক্রমেও বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশ থেকে সাধারণত তৈরি পোশাক, পচনশীল পণ্য- যেমন শাকসবজি, ফলমূল, পান এবং আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রপ্তানি হয়ে থাকে। এসব খাতের ব্যবসায়ীরা বেশি ঝুঁকিতে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘কী পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে সাধারণত আমাদের সদস্য কারখানাগুলো প্রায় সবাই এয়ারে পণ্য পাঠান। প্রতিদিন গড়ে ২০০-২৫০টি কারখানার পণ্য রপ্তানি হয়। সে হিসেবে এই পরিমাণ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি।’
মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘তবে বিমানবন্দর বন্ধ থাকলেও ক্ষতির মুখে পড়বেন রপ্তানিকারকরা। যদি তা দ্রুতই খুলে দেওয়া হয় তবে কম ক্ষতি হবে, যদি বেশি দিন বন্ধ থাকে তবে বেশি ক্ষতি হবে।’
সবজি ও এ জাতীয় পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিনই অনেক পণ্য থাকে, এমনটা নয়। বিমানের স্থান ফাঁকা থাকার ওপর নির্ভর করে আমাদের বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে পণ্য পাঠানো। তাই যেদিন স্থান বেশি পাই সেদিন পণ্যও বেশি দিতে পারি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি আজকে আমাদের সদস্যদের কী পরিমাণ পণ্য ছিল।’
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পচনশীল পণ্য হওয়ায় আমরা চাই দ্রুত বিমান চলাচল শুরু হোক। এতে আমাদের রপ্তানির জন্য পাইপলাইনে থাকা পণ্যগুলো নষ্ট হবে না।’
বিডি প্রতিদিন/মুসা