বিরল গ্রীষ্মকালীন পরিযায়ী খয়রাপাখ পাপিয়া পাখির দেখা মিলেছে চট্টগ্রামে। কয়েক দশক আগে সচরাচর দেখা গেলেও বর্তমানে এটি অতিদুর্লভ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। সম্প্রতি রংপুরের কবি, লেখক ও বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী রানা মাসুদ চট্টগ্রামের হাজারিখিলে পাখিটির ছবি ধারণ করেছেন।
খয়রাপাখ পাপিয়া দেখতে মাঝারি আকারের কেকিল পাখির মতো। এর মাথায় রাজকীয় ঝুঁটি থাকে, যা সহজেই পাখিপ্রেমীদের মুগ্ধ করে। তবে পাখিটি সাধারণত গাছের ডালে আড়াল করে থাকতে পছন্দ করে, তাই সহজে চোখে পড়ে না।
বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে হাতেগোনা কয়েকটি পরিযায়ী পাখি দেখা যায়, যার মধ্যে খয়রাপাখ পাপিয়া অন্যতম। এটি গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎকাল পর্যন্ত দেশে অবস্থান করে। এর প্রিয় খাদ্য হলো শুঁয়োপোকা। গ্রীষ্মকালে অন্য পাখির বাসায় নীলচে রঙের দুই-চারটি ডিম পাড়ে, তবে নিজে তা দেয় না। কিছুদিন পর সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে।
পাখিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৭ সেন্টিমিটার এবং ওজন সর্বোচ্চ ৭০ গ্রাম হয়ে থাকে। শরীরে পীতাভ, হালকা লাল ও সাদা রঙের আভা ছড়ানো থাকে। চোখ লালচে-বাদামি, আর কালো মাথায় লম্বা ঝুঁটি পিছনের দিকে কাত হয়ে থাকে।
রানা মাসুদ বলেন, খুব অল্প জায়গায় এই সুন্দর পাখিটির দেখা মেলে। সাধারণত এরা গাছের পাতার আড়ালে থাকে এবং মানুষের উপস্থিতি টের পেলে উড়ে যায়। একে অনেকেই লাল পাখাযুক্ত ক্রেস্টেড কোকিল নামেও ডাকেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ