মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জনপ্রিয় হচ্ছে বস্তায় আদা চাষ। খরচ ও পরিশ্রমের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা বস্তায় আদা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। চলতি বছর উপজেলায় ১৫ হাজার বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয় কৃষি অফিস ৭ হাজার ৫ শ বস্তা প্রদর্শনী প্লট দিয়েছে। এর বাইরে কৃষকরা নিজ উদ্যোগে চাষ করেছেন। ১২ হাজার কেজি আদা উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
জানা যায়, গত বছর বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছিল ১২ হাজার বস্তা। আর ২০২৩ সালে ছিল ৬ হাজার বস্তা। প্রদর্শনী প্লটে কৃষকদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বস্তা, বীজ, সার ও কীটনাশক দেওয়া হয়েছে। আর নিজ উদ্যোগে চাষ করা কৃষকদের কৃষি কর্মকর্তারা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, এপ্রিল-মে মাসে বস্তায় আদা রোপণ করতে হয়। রোপণের ১৫-২০ দিন আগে মাটি প্রস্তুত করতে হয়। সঙ্গে গ্যাস মুক্ত গোবর, ভার্মি কম্পোস্ট, ছাই, সার ও কীটনাশক দিতে হয়। আদার ভালো ফলন পেতে সময় মতো পটাশ এবং ইউরিয়া সার দিতে হয়। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বস্তা থেকে আদা উঠাতে হয়। ৩৫-৪০ টাকা খরচে জাত ভেদে প্রতি বস্তায় ফলন হয় প্রায় এক কেজি আদা।
কৃষক মুক্তার হোসেন বলেন, ‘এ বছর ৫০০ বস্তায় আদা চাষ করেছি। আশাকরি ভালো ফলন হবে। গত বছর ১ হাজার ২০০ বস্তা চাষ করে ৭০০ কেজি আদা পেয়েছি। বাজারে বিক্রি করে ভালো লাভ হয়েছিল।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাসুকুর রহমান বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আমরা চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শসহ নানাভাবে সহযোগিতা করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলাউদ্দিন জানান, ‘বস্তায় আদা চাষ লাভজনক হওয়ায় শ্রীমঙ্গলে বস্তায় আদা চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।’