ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় একমাত্র ছেলে ফাহাদ হাসান মাহমুদুলকে আটক করা হয়েছে। পরে ছেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি পুকুর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আটক ফাহাদ হাসান মাহমুদুল হত্যার শিকার আলম মিয়ার একমাত্র ছেলে। দেড় বছর আগে বিয়ে করা মাহমুদুল বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের মুন্সি পাড়ায় নিজঘর থেকে আলম মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আলম মিয়া ওই ইউনিয়নের ওয়াহেদ আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় বাজারে রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। এ ঘটনায় আলম মিয়ার ছেলে আটককৃত মাহমুদুল বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্তের দ্বায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সে সময় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রায় ২ বছর আগে প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আলম মিয়া লাখাই উপজেলার মানপুর গ্রামের আমেনা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে সন্তান নেওয়া নিয়ে দাম্পত্য জীবনে কলহ তৈরি হয় তাদের মধ্যে। এ নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলতে থাকায় আমেনা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু পিবিআই ঘটনার তদন্তে অন্যকিছু পায়। আটক করা হয় নিহতের একমাত্র ছেলে মাহমুদুলকে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয় হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত অস্ত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, মূলত বাবার সম্পত্তির জন্যই মাহমুদুল এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ বেলাল বলেন, মামলা তদন্তনাধীন। আলম মিয়ার ছেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পাইপটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/এএম