স্বাস্থ্য খাতে ‘সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারে’ জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে তার পক্ষে জামিনের আবেদন এবং দুদকের করা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানি আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
মিঠুর বিরুদ্ধে ৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে গতকাল বুধবার মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান। এরপর বুধবার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে মিঠুকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
এরপর তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জাকির হোসেন।
দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমি রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে মিঠুর আইনজীবী শফিকুল ইসলাম রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৭৫ কোটি ৮০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ও উন্নয়ন কাজের নামে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগসহ দেশে এবং দেশের বাইরে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া তার নিজ এবং পরিবারের সদস্যদের নামে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে তাকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এ অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুসন্ধান ও মামলাটি তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে তথ্য উদঘাটনের জন্য আসামির ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন। এ সময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদক রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে অধিকতর রিমান্ড শুনানির জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত