এখনই স্বর্ণচাঁপা ফোটার উপযুক্ত সময়। নজরকাড়া রং আর মন ভরানো সুবাসের জন্য অনেকেরই প্রিয় এই ফুল। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাস ছাড়াও শহরের অনেক সৌখিন বাগানপ্রেমির বাগান, এমনকি বিভিন্ন জায়গায় মুগ্ধতা ছড়াতে শুরু করেছে ফুলটি।
ফুলটি সম্পর্কে জানা গেছে, বাংলাদেশ, ভারত এবং মালয়েশিয়া আদি নিবাস স্বর্ণচাঁপার। এই সময়ে এই ফুলের সুবাসে মুগ্ধ হয় অনেকেই। গাছটি খুব বড় হয় না। ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মতো হয়। পাহাড়ে বেশি চোখে পড়লেও সমতলেও দেখা যায়। পাতা বড়, চ্যাপ্টা এবং উজ্জ্বল সবুজ। ফুল ফোটে বসন্তের শেষে এবং গ্রীষ্মের শুরুতে। কোনো কোনো গাছে শরৎ-হেমন্ত পর্যন্ত ফুল থাকে। ফুলের অনেক রং সোনালি, ফিকে হলদে এবং সাদাও হয়ে থাকে। সুগন্ধি ফুলটি ফোটে একেকটা করে পাতার কোলে। পাপড়ি সংখ্যা প্রায় ১৫টি, খোলা ও একটু বাঁকানো। ফুল শেষ হতে না হতেই থোকা থোকা আঙুরের মতো ফল ধরে। আর সেটি খেতে ভিড় জমায় কাক, শালিক ছাড়াও নানান জাতের পাখি আর পাখির কূজন আর কলকাকলীতে পরিবেশটা হয়ে ওঠে সংগীতময়।
বাংলা একাডেমির সহপরিচালক এবং বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না জানান, ওষুধি গুণসম্পন্ন স্বর্ণচাঁপার বাকল ও ফুল থেকে বাতরোগের ওষুধ বানানো হয়। বীজ পায়ের ক্ষতে অর্থাৎ কুনি রোগে উপকারি। চোখের রোগেও উপশম ঘটে। এই গাছের কাঠও বেশ মজবুত। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় বুদ্ধমূর্তি তৈরিতে স্বর্ণচাঁপার কাঠ ব্যবহৃত হয়। ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম Michelia champaca cwievi Magnoliaceae।
বিডি প্রতিদিন/এমআই