উলটচন্ডাল সুন্দর লতাজাতীয় বনফুল হলেও জলবায়ুর পরিবতন, প্রকৃতির রুক্ষতাসহ দিন বদলের পালায় নানান কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে দেখলে রংপুর মহানগরীর কামাল কাছনা, রাধাবল্লভ, রংপুর মেডিকেল কলেজ এলাকায় দুই একটি ফুলের শোভা দেখা পাওয়া যাবে। ভেষজ গুণ চরম মাত্রায় থাকায় এর সমাদর রয়েছে ভেষজ প্রেমিদের কাছে। লতাটি প্রাকৃতিক পরিবেশের আজকাল কম চোখে পড়ছে। এই ফুলের কদর রয়েছে বিশ্বব্যাপী।
এই ফুলটি সম্পর্কে জানা গেছে, ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের জাতীয় ফুল ছাড়াও জিম্বাবুয়ের জাতীয় ফুল এটি গণ্য হয়েছে। ১৯৪৭ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ রোডেশিয়ায় (জিম্বাবুয়ের পূর্ব নাম) ভ্রমণে গেলে এই ফুলের আকৃতির একটি হীরা উপহার হিসেবে দেয়া হয় তাকে। এমনটা জানা গেছে ইতিহাস থেকে। ফুলের আগার রং লাল এবং গোড়ার অংশ হলুদ বর্ণের। ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন দ্বীপ বিশেষ করে আন্দামান এলাকা থেকে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনেকে মনে করেন। নানান ভেষজ গুণে গুণান্বিত এ লতার মূল কুষ্ঠ রোগে ব্যবহৃত হয়। পাতার রস মাথার উকুন ধ্বংসে অত্যন্তকার্যকর
বাংলা একাডেমির সহপরিচালক এবং বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না জানান, বর্ষায় ফুল ধরে থাকে লতাজুড়ে। লাল হলুদ রঙে মিশ্রিত ফুলটিকে তুলনা করা যায় বর্ণের দিক থেকে অনেকটা অশোক ফুলের সাথে। অনেক ইংরেজি নাম আছে যেমন,ফ্লেইম লিলি, মালাবার লিলি, ক্লাইবিং লিলি, ক্রিপিং লিলি, গ্লেরি লিলি, ফায়ার লিলি ইত্যাদি।
বিডি প্রতিদিন/এএ