ত্বক, চুল নিয়ে বিস্তর গবেষণা; কিন্তু নখ! সামান্য নখই আপনার লুক এবং পারসোনালিটি নষ্ট করে দিতে পারে। তাই নখের পরিচর্যায় জেনে নিন-
একটা প্রশ্ন করি- আপনার বিউটি টু-ডু লিস্টে নেইল কেয়ার কততম স্থানে? আমাদের ত্বক ও চুল যতটা যত্ন পায়, হাত-পা সে তুলনায় অনেকটাই অনাদরে থাকে। অথচ সুন্দর এবং মসৃণ নখ ভদ্রতার পরিচায়ক। অনেকে ভাবেন, ত্বক ও চুলের সাজগোজ বা যত্ন নিলেই হলো। নখের যত্ন মানেই বাড়াবাড়ি। মোটেও তা নয়। আপনি যদি কোনো সেলিব্রেটিকে ফলো করেন- তাহলে দেখবেন, সুস্থ নখ হলো তাদের সেলফ কেয়ার রুটিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সুস্থ নখের লক্ষণ
► নখের রং গোলাপি-সাদা হয়
► কিউটিকল দৃশ্যমান থাকে
► লুনুলা (নখের গোড়ার অর্ধচন্দ্রাকৃতি সাদা অংশ) স্পষ্ট থাকে এবং
► নখ ও সাদা প্রান্ত সমান দৈর্ঘ্যরে হয়
অসুস্থ নখের লক্ষণ
► নিয়মিত নখ ফেটে বা ভেঙে যায়
► অতিরিক্ত নেইল পলিশে সাদা দাগ
► কিউটিকল কামড়ানো বা নখ তুলে ফেলায় চারপাশের চামড়া ফোলা
► নখের প্লেটে অনুভূমিক দাগ
নখের সাধারণ যত্ন
নিয়ম মেনে নখের যত্ন প্রয়োজন। এ জন্য তাড়াহুড়া নয়। এতে বেশি কিছু লাগবে না; নেলপলিশ রিমুভার, নেল ফাইল এবং নেল কাটার লাগবে। আর সপ্তাহান্তে নয়, ১৫ দিন পরপর একটু পরিষ্কারই পাল্টে দেবে হাতের নকশা। তবে কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অপ্রয়োজনে ঘন ঘন নেলপলিশ ব্যবহার উচিত নয়। এতে নখ হলুদ হয়ে যায়। আর পুরোনো নেলপলিশ তুলে নিলে অবশ্যই নখ কেটে শেপ ঠিক করুন। সঙ্গে কিউটিকল কেয়ার নিতে ভুলবেন না।
► প্রথমে নখের পুরোনো নেলপলিশ তুলে নখ কেটে ফাইল করে নিন।
► এবার বড় পাত্রে কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে সামান্য মাইল্ড শ্যাম্পু, রক সল্ট এবং কয়েকফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে তাতে হাত এবং পা ডুবিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ব্রাশ দিয়ে নখ ভালোভাবে ঘষুন। নখের কোণে যেন কোনো ময়লা না থাকে।
► এবার হাত-পা তুলে, নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছে নিন। একটা ডিমের কুসুম, দুই চামচ লেবুর রস, এক চামচ নারিকেল তেল ও সামান্য দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে হাত ও পায়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঘষে ধুয়ে নিন।
► আজকাল বাজারে নানা ধরনের কিউটিকল ক্রিম পাওয়া যায়। এতে নখের গোড়ায় জমে থাকা কিউটিকল পরিষ্কার করা হয়, ফলে নখের গ্রোথ ভালো থাকে। সামান্য পরিমাণে এই ক্রিম নিয়ে নখে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর অরেঞ্জ স্টিক দিয়ে কিউটিকল ঘষলেই দেখবেন সাদা সাদা পদার্থ উঠে আসবে। ভালোভাবে সব নখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন।
► এবার হাত-পা মুছে সামান্য পেট্রোলিয়াম জেলি বা ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা লোশন লাগিয়ে নিন।
এভাবে মাসে একবার বাড়িতে যত্ন নিলে পার্লারে গিয়ে আলাদা করে পেডিকিওর-ম্যানিকিওর করানোর প্রয়োজন নেই।