শারদীয় দুর্গোৎসব ও সরকারি ছুটির চতুর্থ দিনেও পর্যটকদের সমাগমে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার সৈকতসহ তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চর এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত।
পর্যটকের ভীড়ে বিক্রি বেড়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। অধিকাংশ হোটেল-মোটেল শতভাগ বুকিং রয়েছে। আগতদের নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে রাত থেকে পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়রা জানান, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটার বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চড়ে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
হোসেন শহীদ ও সোনিয়া পর্যটক দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, এখানকার খাবার মান মোটেই ভাল না। এছাড়া হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
পর্যটক পুজা বলেন, এর আগও কুয়াকাটায় বেশ কয়েকবার এসেছি। তবে এবার লাম্বা ছুটি পেয়ে পরিবারের সাথে এলাম। সমুদ্রের সৌন্দর্য দারুণ লাগছে। ঢেউয়ের সঙ্গে মজা করছি। লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন সহ কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। দরুণ এক অনুভূতি যা ভাষা প্রকাশ করার নয়।
ঝিনুক দোকানী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পূজার এই ছুটিতে কুয়াকাটায় ভালোই পর্যটক এসেছে। আর তাদের দোকানগুলোতে বিক্রিও ভাল হয়েছে বলে তিনি জানান।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় সৈকত ও দর্শনীয় সকল স্পটে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পশাপাশি থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত