দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। এর আগে দু’দুবার ফাইনালে উঠেও ট্রফি ছোঁয়া হয়নি। তবে এবার আর ব্যর্থ হয়নি দলটি। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো ভারতীয় মেয়েরা।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি কয়েক কোটি টাকা রোজগার করলেন হারমানপ্রীত কৌর ও স্মৃতি মন্ধানারা। টাকার অঙ্ক ভারতের পুরুষ দলের থেকেও বেশি। এমনকি, ২০২৩ সালে পুরুষদের একদিনের বিশ্বকাপ জিতে অস্ট্রেলিয়া যত টাকা পেয়েছিল, তার থেকেও বেশি টাকা পেয়েছেন ভারতের মেয়েরা।
বিশ্বকাপ জেতায় পুরস্কারমূল্য হিসেবে ৩৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পেয়েছে ভারতের নারী দল। এই টাকা দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। ২০২৩ সালে ছেলেদের বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার ভারতকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া সাড়ে ৩৫ কোটি টাকা পেয়েছিল। অর্থাৎ, প্যাট কামিন্সরা যে টাকা পেয়েছিলেন, হারমানপ্রীতরা তার চেয়ে ৪ কোটির বেশি টাকা পেয়েছেন।
এবার চ্যাম্পিয়ন দলকে গতবারের মেয়েদের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলের চেয়ে ২৩৯ শতাংশ বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। রানার্স আপ দল গতবারের থেকে ২৭৩ শতাংশ বেশি অর্থ পেয়েছে। গত বার চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ দল পেয়েছিল যথাক্রমে ১১ কোটি এবং ৫ কোটি টাকা। দুই সেমিফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড এবার পেয়েছে ৯.৩ কোটি টাকা করে। গতবার তা ছিল ২.৫ কোটি টাকা।
এবার বিশ্বকাপের মোট পুরস্কারমূল্য ১২৩ কোটি টাকা। গত বারের (২৯ কোটি) চার গুণ। এবারই আইসিসি পুরুষ এবং নারীদের জন্য সমান পুরস্কারমূল্য চালু করেছে। গতবার পুরুষদের বিশ্বকাপে যে অর্থ দেওয়া হয়েছিল (৮৪ কোটি), তার থেকেও নারী ক্রিকেটারদের বেশি অর্থ দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্বকাপে খেলা প্রতিটি দল পেয়েছে ২ কোটি টাকা করে। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে শেষ করা দল পেয়েছে ৫.৮ কোটি টাকা করে। সপ্তম এবং অষ্টম স্থানে শেষ করা দল পেয়েছে ২.৩ কোটি টাকা করে। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য ২৮ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিসহ গোটা দলকে ১২৫ কোটি টাকা দিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। হারমানপ্রীতরা ট্রফি জেতার পর বোর্ডের সচিব দেবজিৎ শইকীয়া ঘোষণা করেছেন, ৫১ কোটি টাকা দেওয়া হবে ভারতীয় দলকে। সেখান থেকেও টাকা পাবেন হারমানপ্রীতরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই