রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ক্লাস চলাকালে শিক্ষককে ব্যাগ ছুড়ে মেরেছেন এক ছাত্রী। এ ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষক। তবে ছাত্রীর দাবি, তার ওপর জিনের আছর ছিল।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতরে এ অভিযোগ দেওয়া হয়।
অভিযোগকারী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক সাজু সরদার। অভিযুক্ত একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রী।
অভিযোগের ব্যাপারে ওই ছাত্রী বলেন, আমি মানসিক সমস্যায় ভুগছি। আমার ওপর জিনের আছর আছে। সেজন্য চিকিৎসাও চলছে। সেদিন আমি অজান্তেই ব্যাগ ছুড়ে মেরেছি। আরও কী কী করছি সেগুলো মনে নেই। পরে শুনেছি, সেই পুরো সময় স্যারই আমাকে স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করেছেন। তাই এ বিষয়ে স্যারের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।
অভিযোগপত্রে ওই শিক্ষক উল্লেখ করেন, গত ১৫ মে বিভাগের ৫১৮ নম্বর কক্ষে ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ সেশনের (বিবিএ তৃতীয় ও দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার ২০২৪) শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় আমি চরম অপমানজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হই। ক্লাসের শুরুতে ধারাবাহিক রোল কলের একপর্যায়ে আমি ওই ছাত্রীর রোল কল করি। তবে সে রেসপন্স না করে চুপ থাকে। আমি পুনরায় মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করলেও উত্তর না দিয়ে হঠাৎ করে আমার দিকে ব্যাগ ছুড়ে মারে এবং অসংলগ্ন আচরণ করা শুরু করে। এ পর্যায়ে ক্লাসের তার সহপাঠীদের বলি তাকে শান্ত করতে। তবে তার হাতে বড় বড় নখ লক্ষ করে আমি মন্তব্য করি যে, ওনার নখ এত বড় কেন? সাবধানে ধরুন, না হলে আপনাদের ক্ষত হতে পারে। এ পর্যায়ে অভিযুক্ত ওই ছাত্রী চিৎকার করে বলেন, আমার হাতে বড় নখ, তাতে তোর কী? ওই কথা শোনার পর আমি হতভম্ব ও অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি। এ ছাড়া সেদিনের পরেও ওই ছাত্রী ফেসবুকে আমার পাঠদানকৃত কোর্সে প্রাপ্ত নম্বরের বিষয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
বিষয়গুলো অপমানজনক উল্লেখ করে তার শাস্তির দাবি জানান তিনি।
সাজু সরদার বলেন, ওই ছাত্রীর জিনের আছর ছিল না। সে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই আমাকে অপমান করতেই এমন করেছে। এমনকি পরবর্তীতে সেটা নিয়ে তার ন্যূনতম অনুশোচনাবোধ নেই, উল্টো পাঠদান ও নম্বর কম দেওয়ার কথা রটিয়েছে। শিক্ষক হিসেবে এটা চরম অপমানের এবং এটার জন্য তার শাস্তির দাবি জানাই।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি