‘গোলমেশিন’ খ্যাতি তো অনেক আগেই কুড়িয়েছেন। ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার মতে নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড নাকি লিওনেল মেসি-ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন। সবশেষ গতকাল বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যান সিটির ৩-১ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে জোড়া গোল করেন হলান্ড। ম্যাচের প্রথম দুটি গোলই আসে এই তারকার ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে।
দলের সেরা তারকার এমন দুর্দান্ত ছন্দ গার্দিওলারকে যেন মেসি-রোনালদোর সঙ্গে তুলনা করতেই বাধ্য করল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিটি কোচ বলছেন, হলান্ডের গোল করার দক্ষতা তাকে মেসি-রোনালদোর ক্যারিয়ারের সেরা সময়ের মতো নির্ভরযোগ্য ও নিখুঁত করে তুলেছে।
ফুটবলের দুই কিংবদন্তির সঙ্গে হলান্ডের তুলনা করে গার্দিওলার বলেছেন, “আমরা অবশ্যই আবারও দারুণ খেলেছি, আর আর্লিং ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। এটা কিছুটা এমন, মেসি বা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে খেললে হয়—তাদের প্রভাব এতটাই বড়।’
হল্যান্ড কি আসলেই সেই স্তরে পৌঁছেছেন কিনা এমন প্রশ্নে গার্দিওলা তার গোলের সংখ্যার দিকেই তাকাতে বলেন, ‘তিনি কি সেই স্তরে পৌঁছেছেন? ওর সংখ্যাগুলো (গোলের) দেখুন না! অবশ্যই, তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও মেসির সমান সংখ্যার স্তরে আছেন।’
তবে ব্যবধানটা শুধু মেসি-রোনালদোর লম্বা সময়ের ধারবাহিকতাটাই বলছেন গার্দিওলার, ‘ফারাক হলো, ক্রিশ্চিয়ানো ও মেসি এটা ১৫ বছর ধরে করছেন। মেসি এখনো এমএলএসে (মেজর লিগ সকার) খেলছেন, সেখানে প্রতিদিন দুই-তিনটি গোল করেন। ক্রিশ্চিয়ানোও সৌদি লিগে একইভাবে গোল করেন। কিন্তু হাল্যান্ডও এখন সেই স্তরেই পৌঁছেছেন, এবং তাকে ছাড়া আমাদের জয় পাওয়া কঠিন হত।’
শিষ্যের প্রশংসা করে গার্দিওলার আরও বলেন, হাল্যান্ডের গোল করার দৃঢ়তা এবং শেখার ইচ্ছাই তার মূল বৈশিষ্ট্য। আক্রমণে হলান্ডের আগ্রসী চরিত্র এবং শট নেওয়ার ধরণের তারিফ করেন সিটি কোচ, ‘সে কিভাবে শট নেয়, দেখেছেন কি? শট নেওয়ার পর ঘাসের উপরই যেন ঝুঁকে পড়ছেন, মনে হয় সে বলছে ‘আমি গোল করবই।’
প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচে ১৩ গোল করেছেন হলান্ড। আর চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার মোট গোল ১৮টি। ইংলিশ ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর লিগে ১০৭ ম্যাচে হলান্ড করেছেন ৯৮ গোল। আর দুই গোল করলেই লিগের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে গোলের সেঞ্চুরি করবেন ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। তিনি ভেঙে দেবেন ১২৪ ম্যাচে লিগে শততম গোল করা অ্যালান শিয়ারের রেকর্ড।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম