অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজে চোটের মিছিলে যুক্ত হলো আরও একটি নাম। সিরিজ শুরুর আগেই ছিটকে গেলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তার বদলে ডাক পেলেন জশ ফিলিপি।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে অনুশীলনের বোলিংয়ের সময় এই চোট পান ম্যাক্সওয়েল। মিচেল ওয়েলের শট এসে লাগে তার বাহুতে। প্রচণ্ড ব্যাথায় তখনই কাতর দেখা যায় তাকে। পরে স্ক্যান করিয়ে ধরা পড়ে কবজিতে চিড়। তার এই চোট অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় এক ধাক্কা। দলের অভিজ্ঞতম ক্রিকেটারই শুধু নন, ব্যাটিং ও বোলিং মিলিয়ে দলীয় ভারসাম্যের জন্যও তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের আরেক বড় ভরসা জশ ইংলিশ চোটের কারণে ছিটকে গেছেন আগেই। এছাড়াও এই সিরিজে তারা পাচ্ছে না প্যাট কামিন্স, ক্যামেরন গ্রিন ও ন্যাথান এলিসকে। কবজিতে চিড় ধরা পড়ার পরই দেশে ফিরে গেছেন ম্যাক্সওয়েল। সেখানে একজন বিশেষজ্ঞ দেখানোর পর বোঝা যেতে পারে, তার মাঠে ফিরতে কতদিন লাগবে। তবে এই মাসের শেষে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তার খেলা অনিশ্চিত।
সেটি হলে তার ও অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্যও এটি হবে বড় বাধা। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হয়ে উঠতে নিউ জিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে এই আটটি ম্যাচকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। ম্যাক্সওয়েলের বদলে ডাক পাওয়া ফিলিপি ঠিক অলরাউন্ডার নন, বরং কিপার-ব্যাটসম্যান। মূলত অ্যালেক্স কেয়ারির ‘কাভার’ হিসেবেই তাকে নেওয়া হয়েছে, যদি বিকল্প কোনো কিপার প্রয়োজন হয়! কেয়ারি নিজেও সুযোগ পেয়েছেন ইংলিস ছিটকে পড়ায় বদলি হিসেবে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি ওয়ানডে ও ১২ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ফিলিপি, সবশেষটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। সাম্প্রতিক সময়ে লাল বলের ক্রিকেটে দারুণ ফর্মে আছেন ২৮ বছর বয়সী ক্রিকেটার। সদ্য সমাপ্ত ভারত সফরে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে দুটি আনঅফিসিয়াল টেস্টে করেছেন সেঞ্চুরি ও ফিফটি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও লাল বলে রানের ধারায় তিনি অনেক দিন ধরেই।
তবে উল্টো চিত্র ২০ ওভারের ক্রিকেটে। গত দুটি বিগ ব্যাশে ২৪ ইনিংসে তার ফিফটি স্রেফ একটি, স্ট্রাইক রেট ১৩০-এর নিচে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১২ ইনিংসে ১৫০ রান করেছেন মাত্র ১২.৫০ গড় ও ১০৯.৪৮ স্ট্রাইক রেটে। এই সিরিজে নিউ জিল্যান্ডও খেলতে চোট-জর্জর দল নিয়ে। নিয়মিত অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারসহ তাদের নিয়মিত দলের পাঁচ-ছয় ক্রিকেটার খেলতে পারছেন না। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে তিন ম্যাচের সিরিজটি শুরু বুধবার।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ