নরসিংদী এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালিতে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আলোকবালি ইউনিয়নের সচেতন নাগরিক এর ব্যানারে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে এলাকার জনগণের পাশাপাশি বিএনপি যুবদলের নেতাকর্মীরাও অংশ নেয়। এসময় সংঘষ ও হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
জানা যায়, নরসিংদী সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুমের সাথে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহআলম এর দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই মধ্যে গতবছরের ৫ই আগস্ট ফ্যাসিষ্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পলায়নের পর আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। চলতি মাসের ১৮ তারিখ আওয়ামী লীগের সভাপতি এড.আসাদ আলী ও তার গ্রুপের সদস্যরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহআলম এর সমর্থন নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে। ওই সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইদন মিয়া নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়। এর এক দিন পর প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে ফেরদৌসী বেগম নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়। এরপর থেকে এড. আসাদ আলীর সমর্থকরা এলাকায় অবস্থান করছিল। এরই মধ্যে ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে এলাকার আধিপত্ব বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে অলোকবালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাদেক মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। গত ১১ দিনের ব্যাবধানে ৩টি হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়। আহত হয় কমপক্ষে ৩৫ জন। এত কিছু ঘটার পরও খান্ত হচ্ছে না সন্ত্রাসীরা। তাই অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন নরসিংদী শহর বিএনপির সভাপতি গোলাম কবির কামাল, বিএনপি নেতা আওলাদ হোসেন, যুবদল নেতা আব্দুর রউফ ফকির রনিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল