রাশিয়ার সহায়তায় চীন তাইওয়ানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট (রুশি)।
‘ব্ল্যাক মুন’ নামের একটি হ্যাকটিভিস্ট গ্রুপের ফাঁসকৃত প্রায় ৮০০ পৃষ্ঠার গোপন রুশ নথিপত্র বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, চীনের কাছে রাশিয়া এমন সামরিক প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম বিক্রি করছে, যা বেইজিংকে তাইওয়ানে আকাশপথে আক্রমণের সক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করতে পারে।
নথিগুলোতে রাশিয়া ও চীনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, মস্কো সফর, অর্থপ্রদান ও সরবরাহ সময়সূচি এবং উচ্চ-উচ্চতায় প্যারাসুট ব্যবস্থাপনা এবং উভচর আক্রমণ যানবাহনের বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।
যদিও চীনের পক্ষ থেকে অর্থ প্রদান বা সরঞ্জাম গ্রহণের সরাসরি প্রমাণ নেই, তবুও রাশিয়া ইতোমধ্যে এই সরঞ্জাম তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
নথিগুলোতে তাইওয়ানের নাম সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও রুশি বলছে, এসব সামরিক সহায়তা তাইওয়ান আক্রমণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চীনের প্যারাট্রুপার সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
প্রতিবেদনের লেখক ওলেক্সান্ডার দানিলিউক ও জ্যাক ওয়াটলিং বলেন, চীনের প্যারাট্রুপার ইউনিট এখনও নবীন। রাশিয়ার কমব্যাট এক্সপেরিয়েন্স থেকে তারা কমান্ড, কন্ট্রোল ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অনেক কিছু শিখতে পারবে, যা চীনের আকাশপথ আক্রমণ সক্ষমতা ১০ থেকে ১৫ বছর আগেই অর্জনে সহায়তা করতে পারে।
তবে চীন, রাশিয়া এবং তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়গুলো এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিশ্লেষণ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনের সেনাবাহিনীকে ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অঞ্চল হিসেবে দাবি করে এবং দ্বীপটিকে জোর করে দখলের সম্ভাবনা নাকচ করেনি। সূত্র: এপি, এবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট
বিডি প্রতিদিন/একেএ