শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমীতে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যশোরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় কুমারী পূজা।
এবার কুমারী হিসেবে মাগুরা জেলার নারায়ণপুর এলাকার তাপস চক্রবর্তীর কন্যা তম্রাসতি চক্রবর্তীকে (৫) মাতৃজ্ঞানে পূজা করেছেন ভক্তরা।
যশোর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ মহারাজ বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও আমরা কুমারী পূজার আয়োজন করি।’
তিনি বলেন, ‘হিন্দু ধর্মমতে বয়স ভেদে কুমারীর নাম ভিন্ন হয়। এবার ৫ বছর বয়সী তম্রাসতি চক্রবর্তী পূজিত হন।’
জ্ঞানপ্রকাশানন্দ মহারাজ বলেন, ‘শাস্ত্রমতে এই বয়সে কুমারী পূজিতা হলে শুভশক্তির বিকাশ ও অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে। এতে সমাজে অশান্তি দূর হয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করে।’
রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে আসা ভক্তরা জানান, খুলনা বিভাগের মধ্যে যশোর ও বাগেরহাটে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। যশোরে আয়োজিত কুমারী পূজায় যশোরসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকেও বিপুল পরিমাণ ভক্ত আসেন কুমারী পূজার আরাধনায় অংশগ্রহণ করতে।
নড়াইল থেকে আসা ইন্দ্রজিৎ হালদার বলেন, ‘কুমারী দেবীর আরাধনা করতে তারা কয়েকজন ৭০ কিলোমিটার দূর থেকে যশোরে এসেছেন। বিশ্ব জগতের মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনাও করেছেন তারা।
অলকা রাণী বলেন, ‘প্রতিবছর সপরিবারে তারা যশোরে আসেন কুমারী পূজা করতে। এবারও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছেন। আশপাশের জেলায় থাকা আত্মীয়-স্বজনও আসেন কুমারী পূজায়। এই সুযোগে তাদেরও সাথেও দেখা হয়ে যায়।’
এ বছর যশোর জেলায় ৭০৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে শার্শা উপজেলায় ২৯টি, ঝিকরগাছা উপজেলায় ৫৪টি, চৌগাছায় ৪৮টি, সদর উপজেলায় ২৬৫টি, বাঘারপাড়ায় ৯১টি, মণিরামপুরে ৯৭টি, অভয়নগরে ১২৬টি ও কেশবপুর উপজেলায় ৯৮টি মণ্ডপ রয়েছে।
শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে যশোর জেলা ও পুলিশ প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ