আগামী দুই মাসের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ ‘জরিমানা শুল্ক’ থেকে মুক্তির আশা করছে ভারত। ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের পর এই অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার হতে পারে।
কলকাতায় মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আমরা সবাই এই বিষয়ে কাজ করছি। শুল্ক প্রসঙ্গে কিছু বলব। মূল ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের সঙ্গে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক আরোপিত হয়েছিল। আমি মনে করি, ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক যোগ হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহের অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে আমার ধারণা, ৩০ নভেম্বরের পর আর এই জরিমানা শুল্ক বহাল থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে এই জরিমানা শুল্ক ইস্যুতে সমাধান আসবে বলে বিশ্বাস করি। আশা করি পাল্টা শুল্ক সম্পর্কেও ইতিবাচক অগ্রগতি হবে।
নাগেশ্বরন উল্লেখ করেন, ভারতের রফতানি আয়ের পরিমাণ বর্তমানে বছরে ৮৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার, যা ক্রমেই এক লাখ কোটি ডলারের দিকে এগোচ্ছে। এটি জিডিপির প্রায় ২৫ শতাংশ, যা একটি শক্তিশালী ও উন্মুক্ত অর্থনীতির ইঙ্গিত বহন করে।
চলতি বছর ভারতের ওপর ‘আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইনে’ পারষ্পারিক শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুরুতে এই শুল্ক ২৫ শতাংশ থাকলেও পরে তা দ্বিগুণ হয়ে ৫০ শতাংশে পৌঁছায়।
এই শুল্ক ভারতের যেকোনও পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর জন্য প্রবেশ বা গুদাম থেকে ছাড় করার সময় কার্যকর হয়েছে। ফলে এখন কার্যত ভারতের আমদানি পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য।
তবে মার্কিন কাস্টমসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে এই বাড়তি শুল্ক কার্যকর হবে না। এর মধ্যে রয়েছে- লোহা ও ইস্পাতজাত পণ্য এবং তাদের কিছু ডেরিভেটিভ, অ্যালুমিনিয়ামজাত পণ্য ও তাদের ডেরিভেটিভ, যাত্রীবাহী গাড়ি (সেডান, এসইউভি, ক্রসওভার, মিনিভ্যান, কার্গো ভ্যান, হালকা ট্রাক) ও এদের যন্ত্রাংশ, আধা-প্রস্তুত তামার পণ্য ও কিছু উচ্চ-প্রক্রিয়াজাত তামাজাত পণ্য। সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/একেএ