ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর শেষ হওয়ার পর এই ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। বৃহস্পতিবার চেকার্সে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা ছাপিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় সফরের পর পর্যন্ত ঘোষণাটি বিলম্বিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই খবর জানিয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার গত জুলাই মাসে সতর্ক করে বলেছিলেন, 'যদি ইসরায়েল গাজার দুর্ভোগ লাঘব এবং যুদ্ধবিরতির জন্য পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাজ্য।' তবে ইসরায়েল যুক্তরাজ্যের এসব শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে, যা কার্যত স্বীকৃতিকে নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের এ পদক্ষেপের কঠোর বিরোধিতা করছে ওয়াশিংটন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগেই সতর্ক করেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হামাসকে পুরস্কৃত করার সমান হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, আমেরিকা যুদ্ধের অবসান চায়। তবে হামাসের মতো বর্বরদের সঙ্গে কখনো তা সম্ভব নয়।
আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হবে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রত্যাশিত তালিকায় রয়েছে। কিয়ার স্টারমার নিজে সেখানে উপস্থিত থাকবেন না। যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার ও বিচারমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।
গত জুলাইয়ে কিয়ার স্টারমার ঘোষণা করেছিলেন, আমরা সবসময় বলেছি যে, সঠিক শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই আমরা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেব। দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এ পদক্ষেপ নেওয়াই সঠিক। এই সমাধান এখন হুমকির মুখে, পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ১৯৩ দেশের মধ্যে ১৪৭টি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে স্বাধীন দেশ হিসেবে।
সূত্র : রয়টার্স, দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য গার্ডিয়ান।
বিডি প্রতিদিন/এএম