সাম্প্রতি সামরিক মহড়ায় নতুন নতুন সমরাস্ত্র প্রদর্শন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে চীন। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামে চীনের অস্ত্রভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষের দ্বীপটিতে ‘গুয়াম কিলার’ নামে পরিচিত ক্ষেপণাস্ত্রটিকে কেন্দ্র করে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই চীনের ভূখণ্ড থেকে ৪৭৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আমেরিকার গুয়াম দ্বীপের মানুষের কাছে চীনের সামরিক হুমকির কথা নতুন নয়। কিন্তু এই মাসে বেইজিংয়ের বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচনের পর হঠাৎ করেই বিষয়টি সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জ্যাকলিন গুজমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আস্থা রাখেন। কিন্তু চীনের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনের পর তার সেই আস্থা খানিকটা নড়বড়ে হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গুয়াম যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলগত ঘাঁটি। যদি চীন তাইওয়ান দখলের চেষ্টা করে, তবে গুয়াম প্রথম সারির ফ্রন্টলাইন হয়ে উঠতে পারে। এ জন্যই ‘গুয়াম কিলার’ ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য আধুনিক অস্ত্র প্রদর্শনকে অনেকেই গুরুতর সংকেত হিসেবে দেখছেন।
সতর্ক করে অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন মেরিন অফিসার কর্নেল গ্রান্ট নিউশ্যাম বলেন, চীন যদি সময় ও স্থান নিজের মতো বেছে নেয়, তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে কঠিনভাবে আঘাত করতে পারবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি এখনও চীনের চেয়ে অনেক বেশি ও আধুনিক বলে দাবি করেন তিনি।
গুয়ামের স্থানীয় সরকার ও মার্কিন সামরিক কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছেন, দ্বীপের প্রতিরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যেই ১.৫ বিলিয়ন ডলারের সমন্বিত আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর, যা আগামী ১০ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা।
গুয়ামের সিনেটর জেসি লুজান বলেন, আমরা শান্ত ও ঐক্যবদ্ধ থাকব। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/কেএ