এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের সামনে ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচ। সুপার ফোরে যেতে হলে আফগানিস্তানকে অবশ্যই এই ম্যাচে জিততে হবে। অন্যথায় তাদের জায়গা নেবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য বড় ব্যবধানের হার থেকে বাঁচা।
আফগানিস্তানের কাছে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ চাইবে শ্রীলঙ্কা জিতুক, কিন্তু যদি শ্রীলঙ্কা হারে, তাহলে তাদের হারটি বড় হারে হতে হবে।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা সাম্প্রতিক সময়ে স্পষ্ট হয়েছে। সোমবার হংকংয়ের বিরুদ্ধে তাদের প্রায় পরাজয় এড়াতে হয়েছে, যেখানে মিডল অর্ডার ধুঁকেছে। গত কয়েক সপ্তাহ আগে জিম্বাবুয়ের কাছে ৮০ রানে অলআউট হয়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন আপের দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের আটটি টি২০ ম্যাচে তিনবার পরাজয়ও চিহ্নিত করে এই দলের সমস্যাগুলো।
যদিও দুই দলের আসল শক্তি তাদের বোলিং। আফগানিস্তানের কাছে আছে বিশ্বখ্যাত রশিদ খান, আর শ্রীলঙ্কার হাতে আছে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা – দু’জনেই দক্ষ লেগ স্পিনার, তারা ব্যাট হাতে ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। পাশাপাশি দুই দলেই অলরাউন্ডারদের ওপর নির্ভরতা বেশি। তবে দু’দলের ব্যাটিং অর্ডারে মধ্য ও নীচের দিকে একপ্রকার দুর্বলতা রয়েছে, বিশেষ করে বিশ্বসেরা দলের বিরুদ্ধে।
আফগানিস্তানের উপর জয়ের চাপ অনেক বেশি, শ্রীলঙ্কা অপেক্ষা করবে মৃদু পারফরম্যান্সে। সুপার ফোরে ওঠার পর তারা ২০২২ সালের মত পুনরুজ্জীবন ঘটানোর আশা রাখে, তখন তারা এশিয়া কাপ জিতেছিল। আফগানিস্তানও তেমন পারফরম্যান্স দেখিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে, গত বছরের টি২০ বিশ্বকাপে তারা সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল।
বিডি প্রতিদিন/মুসা