ফুটবল মৌসুম শুরু হতে না হতেই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে পুরোনো এক ব্যাধি 'বর্ণবাদ'। ইউরোপিয়ান ফুটবলে নতুন মৌসুমের প্রথম সপ্তাহেই ঘটে গেছে দুটি বর্ণবাদী ঘটনা। এ প্রবণতা ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া বিকল্প দেখছেন না ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ওয়েইন রুনি।
বিবিসির এক পডকাস্টে রুনি বলেন, বর্ণবাদ ঠেকাতে শুধু দায়ী ব্যক্তি নয়, তার ক্লাবকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে পয়েন্ট কেটে নেওয়ার মতো কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ক্লাবগুলোও বিষয়টি নিয়ে কঠোর অবস্থান নেয়।
ক্লাবকে শাস্তির আওতায় না আনলে এসব থামবে না বলেন রুনি। তিনি বলেন, 'সমর্থকরা জানে তাদের কিছুই হবে না। তাই আবারও এমন করবে। কিন্তু যদি ক্লাবের পয়েন্ট কাটা হয়, বড় অঙ্কের জরিমানা দেওয়া হয় তাহলেই তারা সতর্ক হবে।'
রুনি নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের এক অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানান, কী ভয়াবহ মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করেন বর্ণবাদে আক্রান্ত খেলোয়াড়েরা।
তিনি বলেন, 'ডিসি ইউনাইটেডে থাকাকালে আমার এক খেলোয়াড় বর্ণবাদের শিকার হয়ে আমার বুকে মাথা রেখে কাঁদছিল। আমি তাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। মানুষ বুঝতে পারে না, এসব কতটা আঘাত করে।'
গত সপ্তাহে উয়েফা সুপার কাপে টটেনহ্যামের মাথিয়াস তেল পেনাল্টি মিস করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হন। একইভাবে প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুল বনাম বোর্নমাউথ ম্যাচেও ঘটে বর্ণবাদী ঘটনা। বোর্নমাউথের ফুটবলার এন্টোয়ান সেমেনিওকে উদ্দেশ্য করে অ্যানফিল্ডে দর্শকদের একাংশ বর্ণবাদী মন্তব্য করলে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয়।
রুনি মনে করেন, মাঠে এবং মাঠের বাইরে, সমাজজুড়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন,'শিশু, অভিভাবক, সবাইকে সচেতন করতে হবে। সবার বুঝতে হবে, এসব মন্তব্য কতটা কষ্ট দেয়। শুধু ফুটবলেই নয়, সমাজেও প্রচারণা চালাতে হবে।'
বিডি প্রতিদিন/মুসা