জাপানের ঐতিহাসিক শহর কিয়োটোতে খোলা হয়েছে এক অভিনব রেস্টুরেন্ট। নাম ‘ফিউচার ট্রেন’। এটি তৈরি হয়েছে পরিত্যক্ত উঁচু রেললাইনের ওপর ট্রেনের তিনটি পুরোনো কোচ ব্যবহার করে। প্রকল্পটির পরিকল্পনা ও নকশা করেছেন খ্যাতিমান শিল্পী সেবাস্টিয়ান মাসুদা।
রেস্টুরেন্টটির অভ্যন্তর ও খাবারের সাজসজ্জা বেশ রঙিন ও নজরকাড়া। প্রবেশদ্বারটি রাখা হয়েছে একটি টিকিট গেটের মতো। ভেতরে ঢুকলেই মনে হবে যেন যাত্রীরা একটি নতুন ভ্রমণে উঠেছেন। বর্তমানে খোলা রয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কোচ।
দ্বিতীয় কোচটি মূল ডাইনিং হল, যেখানে রেট্রো–ফিউচারিস্টিক (পুরোনো ও ভবিষ্যতধর্মী সাজসজ্জার মিশ্রণ) পরিবেশ রাখা হয়েছে। তৃতীয় কোচে রয়েছে বার কাউন্টার ও উঁচু টেবিলসহ বসার জায়গা, যা আড্ডা বা হালকা খাবারের জন্য উপযুক্ত।
প্রথম কোচটি ২০ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে। এটি শিল্পকলা প্রদর্শনী ও আলো–শব্দ–ভিডিওর ইন্টারঅ্যাকটিভ অভিজ্ঞতার জন্য রাখা হচ্ছে।
খাবারের মেনুতেও রয়েছে অভিনবত্ব। কিয়োটোর ঐতিহ্যবাহী স্বাদকে আধুনিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে আছে ‘উমে মিরাই গুরমে বার্গার’, ‘ফিউচার একিবেন বক্স’ (বিভিন্ন মাংস, মাছ ও স্যান্ডউইচের সমাহার), কিয়োটো স্টাইল পাস্তা ও জনপ্রিয় জাপানি খাবার ওমুরাইস। মিষ্টির মধ্যে আছে ‘ফাইভ–স্টোরি প্যাগোডা পারফে’ এবং তুলতুলে প্যানকেক।
এছাড়া হালকা খাবারের জন্য ভাজা আলু, ইয়াকিতোরি (চিকেন স্কিউয়ার) ও স্ন্যাকস রয়েছে। পানীয় তালিকায় রয়েছে স্থানীয় উপাদান যেমন ইউজু আর ম্যাচা দিয়ে তৈরি রঙিন শেক, ককটেল ও মকটেল।
খাবারের দাম গড়ে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার ইয়েন (প্রায় ১২০০–১৮০০ টাকা) রাখা হয়েছে। রেস্টুরেন্টটি কিয়োটোর উমেকোজি হাইলাইন এলাকায় অবস্থিত। খোলা থাকে কর্মদিবসে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা এবং আবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
খাবারপ্রেমী, শিল্পপ্রেমী কিংবা ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা অনুসন্ধানীদের জন্য এই ‘ফিউচার ট্রেন’ রেস্টুরেন্ট হতে পারে এক অনন্য গন্তব্য।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল