বগুড়ার ১২টি উপজেলায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তুকি মূল্যে আটা বিক্রি করা হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়নে সরকার নিয়োগকৃত ডিলারদের মাধ্যমে এই আটা বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি আটার দাম ভর্তুকি মূল্যে ২৪টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এই আটা বিক্রিতে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ কেউ করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল খালেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, খাদ্য অধিদপ্তরের মনোগ্রাম সম্বলিত বস্তা অবৈধ পাচার ও বিক্রিসহ মজুদের সময় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে আটক হচ্ছে। আটককৃত খাদ্য শস্য (চাল/গম) খাদ্য অধিদপ্তরের হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সরকারি ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। খাদ্য অধিদপ্তরের গুদাম হতে বিতরণের পর অবৈধভাবে পাচার, মজুদ বা বিক্রির সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাগণের হাতে আটক হলে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট ডি,ও গ্রহণকারী ডিলার ও ভোক্তাকে বহন করতে হবে। এ ব্যাপারে খাদ্য অধিদপ্তর কোনভাবে দায়ভার নেবে না।
বগুড়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হারুন-উর-রশিদ জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বগুড়ার ১২টি উপজেলায় ভর্তুকি মূল্যে আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে। উপজেলা পর্যায়ে প্রতি কর্ম দিবসে ১ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হবে। জনগণ নির্ধারিত বিক্রয় কেন্দ্র থেকে প্রতি কেজি আটা ২৪টাকা মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল কাবির খান জানান, জেলার ১২টি উপজেলা ও পৌরসভায় ৯০ ভাগ ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত ভর্তুকি মূল্যে আটা বিক্রয় করা হবে। কোন অনিয়মের খবর পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন