গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ এখনো নগদ টাকায় লেনদেনের ওপর নির্ভরশীল। তাই ক্যাশলেস (নগদবিহীন) অর্থনীতি যেন আয়হীন অর্থনীতিতে পরিণত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। পাশাপাশি প্রতারণা ও ঝুঁকিমুক্ত লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল লেনদেনে সাইবার ঝুঁকি রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ পর্যন্ত চুরি হয়ে গেছে, যা বড় ধরনের সতর্কবার্তা। তাই প্রতারণা ও ঝুঁকিমুক্ত লেনদেন নিশ্চিত করতেই হবে।’
গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ সামিট ২০২৫’-এ প্যানেল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংক ও ফিনটেক খাতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও নীতিনির্ধারকরা একত্র হয়ে ক্যাশলেস অর্থনীতির সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় অংশ নেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মো. শারাফাত উল্লাহ খান, বিকাশ লিমিটেডের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহমেদ, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের পরিচালক জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ। এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে ক্যাশলেস অর্থনীতির কোনো বিকল্প নেই। নগদবিহীন অর্থনীতি পুরো চালু হলে কর ফাঁকি বন্ধের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কোষাগার সমৃদ্ধ হবে।’ মাশরুর আরেফিন ক্যাশলেস সমাজ গড়তে নিম্ন আয়ের মানুষের মোবাইল ফোনের শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেন। বক্তারা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, সহযোগিতা বৃদ্ধি ও একটি নিরবচ্ছিন্ন ক্যাশলেস ইকোসিস্টেম গড়ার ক্ষেত্রে ফিনটেকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।