মাদারীপুর সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও রাজৈর উপজেলা নিয়ে মাদারীপুর-২ আসন গঠিত। অন্য আসনের তুলনায় এই আসনের গুরুত্ব বেশি। এবার আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতার জন্য বিএনপির ছয় নেতা লবিংয়ের পাশাপাশি ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এই ছয় নেতা হলেন- বিএনপির সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হেলেন জেরিন খান, বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মিল্টন বৈদ্য, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান মিয়া। বিএনপি ছাড়া এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও ফরিদপুর অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা আবদুস সোবাহান খান, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা আবদুস সোবহান।
পাকিস্তান আমল থেকে এ আসনে জামায়াতের কোনো প্রার্থী জয়লাভের নজির নেই। তবে বিএনপির প্রার্থী দুবার এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মূলত একসময় এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ ভোটে এবং মাঠে নেই। এ অবস্থায় নির্বাচনি মাঠে বিএনপি এবং জামায়াতই একে অন্যের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী।
বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রার্থী মিল্টন বৈদ্য নিবাচনের ব্যাপারে বলেন, ‘আমি ১৮ সালে দলের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করেছি। এ ছাড়া দলের প্রতিটি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। তাই আমি শতভাগ বিশ্বাস করি, দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জাহান্দার আলী জাহান বলেন, ‘একাধিকবার জেল খেটেছি, শিকার হয়েছি অনেক নির্যাতনের। আমি কখনো চাঁদাবাজি, দখলবাজি বা ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। সেই হিসাবে শতভাগ নিশ্চিত আমি মনোনয়ন পাব।’ অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান যেসব ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন দেবেন বলে জানিয়েছেন, সে অনুযায়ী আমি শতভাগ আশা রাখি তিনি আমাকে মনোনয়ন দেবেন।’
জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী মাওলানা আবদুুস সোবাহান খান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছি।’