ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পর গার্মেন্ট ও হীরাশিল্প উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন সভাপতি এস সি রাল হান জানান, তামিলনাড়ুর তিরুপুর, উত্তরপ্রদেশের নওদা এবং গুজরাটের সুরাতের গার্মেন্টশিল্প প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থা চললে শ্রমিক ছাঁটাই হতে বাধ্য। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম হিরার গয়নার কারখানা হাব গুজরাটের সুরাত। এরই মধ্যে বেশির ভাগ উদ্যোক্তারা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। ট্রাম্পের বর্ধিত শুল্কের কারণে ২৮ বিলিয়ন ডলার বার্ষিক লোকসান হবে। বিশ্বের যত হিরা উৎপাদিত হয় তার ৮০ শতাংশ সুরাতে কাটাই করে পালিশ করা হয়। ছোট ব্যবসায়ীদের অবস্থা করুন। বরং ব্যবসায়ীরা কারখানা বতসোয়ানার নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে শুল্ক মাত্র ১৫ শতাংশ। জেম ও জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমসন কাউন্সিলসহ সভাপতি শানুখ পরিখ বলেছেন, চাহিদা কম হওয়ার কারণে শ্রম ঘণ্টা কমিয়ে দিয়েছেন। হিরা ব্যবসায়ীদের ৪ হাজার বেশি দপ্তর ছিল। এটা কমে এখন ২৫০ হবে।
ধারণা পাওয়া গেছে, অতিরিক্ত শুল্কের কারণে ভারতের গার্মেন্ট ও রেডিমেড গার্মেন্ট বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে পড়বে। ৬ আগস্টের পর বাংলাদেশ গার্মেন্টশিল্প বন্ধ হওয়ার কারণে ভারত লাভবান হয়। এখন আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পর ভারত পিছিয়ে পড়বে। বিশ্বের রপ্তানি বাজারে ভারতীয় পণ্য মার খাবে।