ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে জানিয়েছেন, মার্কিন-ইসরায়েলি ১২ দিনের আগ্রাসনের সময় ইরানি সশস্ত্র বাহিনী দখলদার ইসরায়েলের বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে বহু লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক জাতীয় ও পবিত্র প্রতিরক্ষার সময় আমাদের সেনারা উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহার করে পশ্চিমা দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে পরিচালিত জটিল আকাশ প্রতিরক্ষা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের বিজ্ঞানীদের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ইরানি সেনাদের আত্মনির্ভরতা, জ্ঞানভিত্তিক উন্নয়ন ও নিরবচ্ছিন্ন উদ্ভাবনের মানসিকতা সর্বদা সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশনার আলোকে কাজ করছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে অঘোষিত আগ্রাসন চালায়। এতে অন্তত ১,০৬৪ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ছিলেন সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রও যুদ্ধের অংশ নেয় এবং ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
জবাবে ইরান দখলকৃত ভূখণ্ডের বিভিন্ন কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু ও কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায়। টানা পাল্টা আঘাতের মুখে ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয় আক্রমণকারীরা।
ইরানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যেকোনো হুমকির জবাব আরও শক্তভাবে দেওয়া হবে।
বুধবার সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আমির হাতামি বলেন, আমাদের কোনো বিকল্প নেই, শক্তিশালী সেনাবাহিনী ছাড়া জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। প্রতিটি ইউনিট যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে, তখনই একটি বাহিনী প্রকৃত অর্থে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
তিনি আরও জানান, ইরানের ভৌগোলিক অবস্থান ও কৌশলগত গুরুত্বের কারণে দেশের স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইসরায়েলকে দখলদার ও শিশু হত্যাকারী আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই অবৈধ সত্ত্বা চায় না, কেউ তাদের চেয়ে শক্তিশালী হোক।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল