ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা চার ম্যাচ জেতার পর ষষ্ঠ রাউন্ডে এসে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো তামিম ইকবালের মোহামেডানের।
মঙ্গলবার বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারের বিপক্ষে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
বলা যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ওপেনার ও অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতেই হেরে গেছে মোহামেডান। বিজয় ১৪৩ বলে ১৪৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন।
ম্যাচে ১০ ওভারে ১০৭ রানে ৩ উইকেট নেন মোহামেডানের পেসার তাসকিন আহমেদ। দেশের মাটিতে স্বীকৃত ক্রিকেটে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিং ফিগারের রেকর্ডের মালিক এখন তাসকিন।
আগের রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে দুই পেসারের দখলে। তারা হচ্ছেন শাহাদাত হোসেন ও ইকবাল হোসেন। দু’জনই ১০৪ রান খরচ করেছিলেন। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘এ’ দলের বিপক্ষে শাহাদাত দিলেও গত বছর ডিপিএলে তার পাশে বসেন ইকবাল।
আবাহনীর বিপক্ষে বিব্রতকর রেকর্ডটি গড়েছিলেন গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির পেসার। এবার দুই হোসেনকেই মুক্তি দিলেন তাসকিন।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬০ বলে ১৪১ রানের সূচনা করেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের দুই ওপেনার সাদিকুর রহমান ও এনামুল হক বিজয়। জুটিতে ৭টি চারে ৭৫ বলে ৬০ রান করেন সাদিকুর।
এরপর শোভন মোড়ল ১০ ও শামসুর রহমান শুভ ৩২ রানে আউট হলে তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে ৯৮ রানের জুটি গড়েন এনামুল। এ সময় এনামুল লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ২১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন।
৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় তোফায়েল ২৯ বলে ৬৩ রানের ঝড় থামলেও ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলেছেন এনামুল। ১২টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো এনামুলের ১৪৩ বলে ১৪৯ রানের অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
তাসকিন ১০ ওভারে ১০৭ রান খরচ করেছেন, পেয়েছেন তিনটি উইকেট।
জবাবে ৬৩ বলে ৭২ রানের সূচনা করেন মোহামেডানের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৮ রানে আউট হন তামিম।
তিন নম্বরে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩ রানে আউট হলে তৃতীয় উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়েন রনি ও তাওহিদ হৃদয়। রনি ৪টি করে চার-ছক্কায় ৯০ বলে ৭৪ ও হৃদয় ৫২ বলে ৩৬ রানে আউট হন।
দলীয় ১৭০ রানের মধ্যে রনি-হৃদয়ের বিদায়ের পর আর কোনো বড় জুটি গড়তে না পারার খেসারত দিতে হয় মোহামেডানকে। ৪৮.১ ওভারে ২৭১ রানে গুটিয়ে তারা। পাঁচ নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিমের ৪৬ বলে ৪৯ রানে হারের ব্যবধান কমায় মোহামেডান।
ম্যাচে আব্দুল গাফার সাকলাইন নিয়েছেন ৪ উইকেট। এ ম্যাচ শেষে ৬ খেলায় ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানেই থাকল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে আছে মোহামেডান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত