প্রথমবার বেঁচে গিয়েছিলেন শেষ মুহূর্তে। দ্বিতীয়বার আর সুযোগ পাননি। অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন তাওহিদ হৃদয়। দলীয় স্কোর তখন ৩৫.২ ওভারে ১৫৪ রান। হৃদয়ের নামের পাশে তখন জ্বলজ্বল করছে ৫৬ রান। এতটাই ভালো ব্যাটিং করছিলেন হৃদয়, অনায়াশে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারতেন। ভুল বোঝাবুঝিতে সেটা হয়নি। আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ১০১ রানের জুটি গড়েন টাইগার অধিনায়কের সঙ্গে। যা আফগানিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ হৃদয়-লিটন দাসের অপরাজিত ৪০ রান, চট্টগ্রামে ২০২৩ সালে করেছিলেন। হৃদয় ও মিরাজের ১০১ রানের জুটিতে ভর করে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রান করে বাংলাদেশ। আবুধাবিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলগত স্কোর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৪৯। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে করেছিল টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোর ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান, ২০২৩ সালে লাহোরে করেছিল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৯ রান করেছে আফগানিস্তান। রহমত শাহ ৭৬ বলে ৫০ ও রহমতুল্লাহ গুরবাজ ৭০ বলে ৫০ রান করেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-২০ ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন সাইফ। শুধু আফগান সিরিজ নয়, টি-২০ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার ছিলেন ডান-হাতি ওপেনার। দুটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস ছিল। ৬ টেস্ট ও ১৫ টি-২০ ম্যাচ খেলা সাইফের গতকাল ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে। তানজিদ তামিমের সঙ্গে নতুন বলে ওপেন করেন। দুই ওপেনার ৩.৪ ওভারে ১৮ রানের জুটি গড়েন। তানজিদ ১০ বলে ২ চারে ১০ রান করে আউট হন। টাইগারদের এক সময়কার তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৫ বলে ২ রান করে আউট হন। দলীয় ৫৩ রানে সাইফ সাজঘরে ফেরেন ছক্কা মারতে গিয়ে। ৩৭ বলে ৫ চারে ২৬ রানের সাইফের ইনিংসটি থেমে যায় নানগেয়ালিয়া খারোটেকে কাভারে উড়িয়ে মারতে যেয়ে। ডিপ কাভারে তিনি রশিদ খানের সহজ ক্যাচ হন। ৫৩ রানে ৩ উইকেটের পতনের পর জুটি বাঁধেন হৃদয় ও টাইগার অধিনায়ক মিরাজ। দুজনে ধীরলয়ে দলের স্কোর টেনে নিয়ে যান। দুজনে চতুর্থ উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়েন। হাফ সেঞ্চুরি করেন দুজনই। দলীয় ১৫৪ রানে অধিনায়কের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন হৃদয়। ৫৬ রানের ইনিংসটি খেলেন ৮৫ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায়। ৩৯ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে হৃদয়ের এটা ১০ নম্বর এবং টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে শেষ দুটি টানা হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন হৃদয়। দুটি ইনিংসে তার স্কোর ছিল ৫১ ও ৫১। দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। দলীয় ৩৯ ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোর হন টাইগার অধিনায়ক মিরাজ। ৮৭ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৬০ রান করে লেগ বিফোর হন রশিদের বলে। এটা তার ১০৯ ম্যাচ ক্যারিয়ারে ৭ নম্বর হাফ সেঞ্চুরি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ২২১/১০, ৪৮.৫ ওভার (সাইফ ২৬, তানজিম ১০, হৃদয় ৫৬, মিরাজ ৬০, জাকের ১০, সাকিব ১৭, তানভির ১১। ওমরজাই ৯-০-৪০-৩, গাজানফার ৯.১-১-৫৫-৩, রশিদ ১০-০-৩৮-৩।
আফগানিস্তান : ২২৬/৫, ৪৭.১ ওভার (রহমত শাহ ৫০, গুরবাজ ৫০, ওমরজাই ৪০। তানজিম সাকিব ৭-১-৩১-৩, তাসকিন ৮-০-৫০-০, তানভির ১০-০-৪২-১, মিরাজ ১০-১-৩২-১, হাসান ৮-০-৪০-০।
আফগানিস্তান : ৫ উইকেটে জয়ী