নিউজার্সির ইস্ট রাদারফোর্ডে অবস্থিত মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের দুই সেমিফাইনালে দর্শক ছিল গ্যালারিপূর্ণ। এর অবশ্য ভিন্ন কারণও ছিল। দুই সেমিফাইনালের টিকিটের দাম কমিয়ে দিয়েছিল ফিফা। ৪৭৩ ডলার ৯০ সেন্টের টিকিট বিক্রি হয়েছে কেবল ১৩ ডলারে! যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ায় এ খবর বেশ ফলাও করে প্রচার হয়েছে। ফাইনাল ম্যাচের টিকিটও কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য, ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে দর্শকদের গ্যালারিপূর্ণ উপস্থিতি নিশ্চিত করা। আজ এ ফাইনালে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে পিএসজি-চেলসি।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে মনোমুগ্ধকর ফুটবল উপহার দিয়েছে পিএসজি এবং চেলসি। একে একে কঠিন প্রতিপক্ষদের বিদায় করেছে পিএসজি। শেষ ষোলোতেই তারা মুখোমুখি হয় লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামির। সেই ম্যাচে ৪-০ গোলে জয় পায় পিএসজি। পরের ম্যাচে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে পরাজিত করে ফরাসিরা। সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মতো প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেয় ৪-০ গোলে। দলটির ওসমান ডেম্বলে, নেভাস, আশরাফ হাকিমি, ফ্যাবিয়ানরা নিজেদের নতুন রূপে চেনাচ্ছেন। এ পিএসজিকে থামানোর মতো কোনো দল আছে কি? ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চেলসি। গ্রুপপর্বের বাধা বেশ সহজেই পাড়ি দিয়েছে লন্ডনের এ দল। শেষ ষোলোতে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে। এরপর দুই ব্রাজিলিয়ান ক্লাবকে বিদায় করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল (পালমেইরাসকে ২-১ গোলে) এবং সেমিফাইনালে (ফ্লুমিনেন্সকে ২-০ গোলে)। এনজো ফার্নান্দেজ, কোল পালমার, হুয়াও পেদ্রোদের নিয়ে ছুটে চলেছেন চেলসি কোচ এনজো মারেসকা। এই কোচের স্পর্শে অনেকটাই বদলে গেছে চেলসি। গত মৌসুমে জয় করেছে উয়েফা কনফারেন্স লিগ। সামনের মৌসুমের জন্যও নিজেদের ভালোভাবেই প্রস্তুত করে নিচ্ছে ব্লুজখ্যাত দলটি। তবে এ দলের সামনে প্রতিপক্ষ হিসেবে আছেন লুইস এনরিকে। গত মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স জয় করেছে পিএসজি। দলটিকে ইউরোপিয়ান ট্রেবল জয়ের স্বাদ দিয়েছেন এনরিকে। এবার ক্লাব বিশ্বকাপের স্বাদও উপহার দিতে চান তিনি। প্রথমবারের মতো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন হচ্ছে এত বড় পরিসরে। এ টুর্নামেন্ট জিতে ইতিহাসে নাম লেখাতে বদ্ধপরিকর চেলসিও। আজ ইস্ট রাদারফোর্ডের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে কোন দলের লক্ষ্য পূরণ হবে! চেলসি নাকি পিএসজির?